ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১২:০৯:৫০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

চট্টগ্রাম ওয়াসা :রাজস্ব বিভাগে সমন্বয়হীনতায় বাড়ছে অনিয়ম

| ২৮ আশ্বিন ১৪২৯ | Thursday, October 13, 2022

চট্টগ্রাম ওয়াসা [ছবি: সংগৃহীত]

চট্টগ্রাম ওয়াসার আয়ের প্রধান উৎস পানির বিল বাবদ রাজস্ব আদায়। সমন্বয়হীনতার মধ্যে চলছে ওয়াসার রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম। রাজস্ব ও প্রকৌশল বিভাগের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। ফলে নানামুখী উদ্যোগের কথা বলা হলেও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে সুফল মিলছে না। পানি সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সিস্টেম লসের নামে চুরি বেড়েই চলেছে। ওয়াসার রাজস্ব বিভাগ নিয়েই নানা খাতে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এসব অনিয়ম নিয়ে ইতিপূর্বে একাধিক কমিটি করা হয়েছে। কমিটি সুপারিশও প্রদান করেছে। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চরম গাফিলতি মনোভাব বিরাজ করছে।

ওয়াসার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা ছুটছেন প্রকল্পের পেছনে। একের পর এক প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে নগরীকে পানি সরবরাহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কিন্তু ওয়াসার রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। যেসব অভিযোগ বার বার আলোচনায় আসছে তা হলো—মিটার নষ্ট বলে গড় বিল, মিটার থেকে রিডিং সংগ্রহ নিয়ে অনিয়ম, সিস্টেম লস বৃদ্ধি, নষ্ট মিটার পরিবর্তনে গ্রাহক হয়রানি ও বকেয়া বিল আদায়ে গাফিলতি ইত্যাদি অন্যতম।

 

ওয়াসার রাজস্ব বিভাগে নিজস্ব জনবলের বাইরে রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে রয়েছে সিভিল সার্ভিসের তিন কর্মকর্তা। তারা হলেন ডিএমডি (অর্থ), বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা। এছাড়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে কাজের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। নানা ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। দেখা যায়, সিভিল সার্ভিসের এসব কর্মকর্তা অল্প সময়ের মধ্যে বদলি হয়ে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ ইত্তেফাককে বলেন,  কাউকে দোষারোপ করতে চায় না। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে সবকিছুর দায়িত্ব আমাকে নিতে হচ্ছে। যেসব গ্রাহকের মিটার থাকার পরও  ন্যূনতম বিল করা হচ্ছে  আমি এখন নিজেই পরিদর্শনে যাচ্ছি। ব্যক্তি মালিকাধীন নলকূপে মিটার বসানো হবে। আর মিটার রিডার পদে স্থায়ী লোক নিয়োগ করা হবে না। গ্রাহকদের বলব মাস শেষে মিটার থেকে রিডিংয়ের ছবি তুলে পাঠিয়ে দিতে। প্রয়োজন হলে আউটসোর্সিংয়ে লোক নিয়োগ করা হবে।’

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, নগরীতে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর আওতায় চারটি বিতরণ বিভাগ রয়েছে। এখন নির্বাহী প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে বিল আদায়ের প্রক্রিয়া যুক্ত করা হবে। এতে বিল আদায়, সিস্টেম লসসহ সমস্ত বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের জবাবদিহি করতে হবে। আর ব্যক্তি মালিকানাধীন নলকূপে মিটার বসানো হবে।