ঢাকা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:৫৩:৪৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কালিপদ মজুমদারের বাড়িতে হামলা: ঘটনাস্থল পরিদর্শনে হিউম্যান রাইট ডেভলপমেন্ট সেন্টার ও জাতীয় হিন্দু ফোরাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের অগ্রযাত্রাকে গঠনমূলক সমালোচনায় গতিশীল করবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায় আগামীকাল সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ড. ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহের নিন্দা জানাল ঢাকা কাল থেকে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে পর্যটকবাহী জাহাজ : অনুমোদন পেয়েছে ৩ জাহাজ পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক কমাতে নেমেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি টিম আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন ৫০ বিশিষ্ট নাগরিক কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায় আগামীকাল

| ১৬ অগ্রহায়ন ১৪৩১ | Saturday, November 30, 2024

ঢাকা : বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্ট রায় আগামীকাল।

গত ২১ নভেম্বর মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য রেখেছিল হাইকোর্ট।

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য আজ অপেক্ষামাণ রেখে (সিএভি) আদেশ দেন। আগামীকাল রায় ঘোষণার বিষয়টি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

গত ৩১ অক্টোবর বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এই ঘটনায় আনা মামলায় ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০০১-২০০৬ আমলের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও আসামি শেখ আবদুস সালাম ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মামলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে ১১ জনকে দণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এরপর ওই বছরই হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। পাশাপাশি দণ্ডিত কারাবন্দিরা আপিল দায়ের করেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুন করে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) রায় দেন। রায়ের পর একই বছর বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা দুটির নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌছে। পেপার বুক প্রস্তুত করাসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি সম্পন্ন হলো। এখন হাইকোর্ট রায়ের অপেক্ষায়।

এ মামলায় বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে বারবার দাবি করে আসছিল দলটি।