ঢাকা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:৪৪:৩৩

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উন্নয়নে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান

| ২৭ চৈত্র ১৪২২ | Sunday, April 10, 2016

নয়াদিল্লী : স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উন্নয়নে সহায়তা দানের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যার সুফল জনগণ পাচ্ছে। এই উদ্যোগগুলোকে আরো কার্যকর ও শক্তিশালী করতে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিসহ বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে ‘হোমিওপ্যাথি : গ্লোবাল সিনারিও অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উপলক্ষে ভারতের আয়ুশ মন্ত্রণালয়, হোমিওপ্যাথিক রিসার্চ কাউন্সিলের সহায়তায় আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক সংস্থা ‘লিগা মেডিকোরাম হোমিওপ্যাথিকা ইন্টারন্যাশনালিস’ দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
কনভেনশনের আহবায়ক নন্দিনী শর্মার সভাপতিত্বে ভারতের আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ যেসো নায়েক, নেপালের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুশতাক আলম, আয়ুশের সচিব অজিত শারণ, লিগা মেডিকোরাম হোমিওপ্যাথিকা ইন্টারন্যাশনালিসের সভাপতি ডা. রেঞ্জ গ্যালসিসহ যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া, কানাডা, আর্মেনিয়া, ভারত ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞরা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়, রেজিস্ট্রারার ডা. জাহাঙ্গীর আলমসহ দেশের ৪০ জন বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক অংশ নিয়েছেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার বিকাশের লক্ষ্যেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এই প্রচেষ্টা সফল করতে হলে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিসহ স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, আমরা শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে এমডিজি অর্জন করেছি। আমাদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় প্রায় শতভাগ শিশুকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। এখন আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সকল উপাদানকে কাজে লাগাতে চায়। এজন্য হোমিওপ্যাথিসহ বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সফলতার ভূয়াসী প্রসংসা করে সম্মেলনে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশ অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিসহ বিকল্প চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে।