ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:৫৮:১০

হাইপারটেনশন থেকে মুক্তি পেতে কি করণীয়?

| ২৩ চৈত্র ১৪২২ | Wednesday, April 6, 2016

Hypertensive crisis fixed by electronic pressure measuring instrument over white backgroundসমাজব্যবস্থা যত আধুনিক হয়েছে ততই আমাদের জীবন কিছু দিক থেকে যেমন সহজ হয়েছে, তেমনই কিছু দিক থেকে বেশ জটিল আকার নিয়েছে। স্ট্রেস, অবসাদ, চিন্তা ইত্যাদির কারণে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

হাইপারটেনশন! বহু রোগের মূল উৎসও এই হাইপারটেনশন বা কোনও কিছু নিয়ে অত্যধিক মাত্রায় চিন্তা করা। হাইপারটেনশনের সমস্যা প্রাণঘাতী হতে পারে। এই সমস্যা আক্রান্ত রোগীদের স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এছাড়া হাইপারটেনশনের ফলে কিডনি, মস্তিষ্ক ও মানুষের যৌন আকাঙ্খায় প্রচণ্ড প্রভাব পড়ে। সবকটিই ভীষণভাবে আক্রান্ত হয়।

এর প্রধান সমস্যা হল, হাইপারটেনশনের ফলে শরীরের যে ক্ষতি হচ্ছে, সেটা প্রথমে ধরা পড়ে না। কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। ফলে অনেক সময়ই বিপদ এড়ানো সম্ভব হয় না। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা ভীষণভাবে জরুরি। তবে কিছু উপায়ে একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আসুন উপায়গুলো জেনে নেই -

১। জরুরি খাবার

ফল, সবজি, দানা শস্য, কম ফ্যাট যুক্ত খাবার, বিনস, বাদাম, মাছ, মাংস ইত্যাদি নিজের রোজকার ডায়েটে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখুন। নানা ধরনের ফাস্ট ফুড ও ক্যান ফুড এড়িয়ে চলুন।

২। লবন কম খাওয়া

বাড়িতে তৈরি যে খাবারই খান না কেন, তাতে লবনের পরিমাণ বেশি রাখবেন না। এছাড়া লবন মিশ্রিত নানা খাবার খাওয়া কমান।

৩। কর্মঠ থাকুন

প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত আধঘণ্টা শরীরচর্চা করুন। এতে শরীরের কোনও সমস্যা হলেও তা বুঝতে পারবেন।

৪। ধূমপান ছাড়ুন

উচ্চ রক্তচাপযুক্ত মানুষদের ধূমপান ছাড়তে হতে পারে। হাইপারটেনশনের রোগীদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। না হলে খুব তাড়াতাড়ি হৃদরোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

৫। মদ্যপান নয়

হাইপারটেনশনের মতো রোগে মদ্যপান বিষের চেয়ে কিছু কম নয়। তাই হয় মদ্যপান কমান, নাহলে পুরোপুরি ছেড়ে দিন।

৬। ওজন কমান

সমীক্ষা বলছে, বেশি ওজনের মানুষেরা যদি ওজন কমাতে পারেন, তাহলে রক্তচাপ, হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।