ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৮:৩০:৪১

শখের বশে পান-জর্দ্দা খাওয়ায় আছিয়ার মুখে ক্যানসার

| ২০ শ্রাবণ ১৪২৩ | Thursday, August 4, 2016

sonardesh24.com

সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নে ঝাটিবেলাই গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ আছিয়া খাতুন (৬৫) মাত্র ২০ বছর বয়সে শখের বশে পান-জর্দ্দা খাওয়া শুরু করেন। একবার দুইবার এভাবে খেতে খেতে সে নিয়মিত জর্দা দিয়ে পান খাওয়া শুরু করে।

দীর্ঘ দিন পর  অর্থাৎ ১ বছর আগে হঠাত করে আছিয়ার দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা হতে শুরু করে। ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে একজন প্যারামেডিক্যাল ডাক্তার দেখায়। সেই ডাক্তার তাকে কিছু ব্যাথার ঔষথ দেয় কিন্তু ঔষধ সেবনের পর ব্যাথা না কমলে সে কামারখন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ সেবন করতে থাকে কিন্তু তাতেও ব্যাথা কমে না বরং ক্রমেই ব্যাথার তীব্রতা আরো বারতে থাকে।

এ অবস্থায় সে ধার দেনা করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখায়। সেখানকার ডাক্তার দাঁতের মাড়ির ফুলা অংশটুকু কেটে সেলাই করে দেয়। ডাক্তার সেবনের জন্য ও মুখের ভেতরে লাগানোর জন্য ওষুধ দিলে সেগুলো নিযমিত সেবন ও লাগানোর পরেও কোন উন্নতি হয় না। ব্যাথার তীব্রতা না কমে দিন দিন বাড়তে থাকে, খাবার খেতে সমস্যা হয়, মুখে ঝাল লাগে, খাবারের স্বাদ পায়না, খাবার চিবুতে কষ্ট পায়, গিলতে কষ্ট পায়, এমনিক হা করতে কষ্ট হয়। এদিকে টাকাও শেষ হয়ে আসে। এরপর হতাস হয়ে ঢাকা থেকে বাড়ীতে চলে আসে।

বাড়ীতে এসে সিরাজগঞ্জ নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল হাসপাতালে ডাক্তার দেখায়। সেখানকার ডাক্তার মাড়ি থেকে মাংশ কেটে পরীক্ষা করলে ক্যানসার ধরা পড়ে তখন নিশ্চিত হওয়ার জন্য আবার এনায়েতপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষাটি করালে সেখানেও  ক্যানসার ধরা পরে। সেখানকার ডাক্তার বলেন হাড়েঁ ঘাঁ ধরেছে থেরাপি দিতে হবে।

আছিয়া খাতুন তখন থেরাপি না দিয়ে গ্রামের মানুষের কথায় হোমিও ঔষধ সেবন করতে শুরু করে। তাতেও কোন উন্নতী হয় না। তারপরও হোমিও ওষুধ সেবন করতে থাকে। সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার টাকার হোমিও ওষুধ সেবন করতে হয়। জমি বিক্রি করে সে তার চিকিৎসা খরচ চালায় বলে জানা যায়।

বর্তমানে তার দাঁতের মাড়ি ও গলার নিচে ফুলে গিয়েছে , মাড়ির হাড়েঁ ঘাঁ ধরেছে এবং শক্ত হয়ে গেছে। প্রচন্ড ব্যাথা করে যা কিনা সহ্য করা যায় না তখন খুব কান্নাকাটি করেন। আছিয়া বলেন- ডাক্তার বলেছে অতিরিক্ত পান-জর্দ্দা খাওয়ার ফলে আজ সে ক্যানসারের রোগী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

তাবিনাজ এর এক সদস্য  সরজমিনে গিয়ে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে।