ঢাকা, মে ৩, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:৫০:৪৩

মদপানে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি; জেনে নিন

| ৮ আষাঢ় ১৪২৩ | Wednesday, June 22, 2016

মদপানে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি; জেনে নিন প্রাচ্যের নিন্দনীয় পশ্চিমের জনপ্রিয় মদ বা অ্যালকোহলের প্রতি যদি থাকে আকর্ষণ, থাকে যদি  নিয়মিত পানের অভ্যাস তবে জেনে রাখুন আছেন মারাত্নক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। খারাপ ছাড়া ভালো কিছু নেই সুরাপানে। মদ পানের ক্ষতিকর দিকগুলো সঠিকভাবে জানলে অনেকেই হয়তো সুরাসক্তি থেকে সরে আসবেন, এই দিকটি মাথায় রেখেই আমাদের আজকের আয়োজন।  কি না হয় মদ পানের কারনে? পা থেকে মস্তিস্ক পর্যন্ত সারা দেহই আক্রান্ত হয় মদের কুপ্রভাবের দ্বারা। অ্যালকোহল শরীরে বিপাকের মূল অঙ্গ লিভার। মদপানে এই লিভারের বারোটা বেজে যায়। ফ্যাটি লিভার, জন্ডিস, লিভার বড় হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে লিভার সিরোসিস নামের ভয়ংকর রোগ পর্যন্ত হতে পারে। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হলে অকালে মৃত্যুবরণের আশংকা বেড়ে যায় অনেকখানি। হতে পারে লিভার ক্যান্সার যার ফলাফল নিশ্চিত মৃত্যু। বুকজ্বালা, গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা বেড়ে যায়, অগ্নাশয়ে হতে পারে প্যানক্রিয়াটাইটিস বা আগ্নাশয়ের প্রদাহ যা খুব মারাত্নক। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে এটা রোগীর জীবনাবসান করাতে পারে। মুখগহবর, শ্বাসনালী ও খাদ্যনালি, কোলন বা বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারেও মদিরার ভূমিকা আছে।  কিডনির আকার বাড়িয়ে দেয়া, কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে কিডনির হরমোনের ব্যালান্স নস্ট করা, কিডনি বিকলে ভূমিকা রাখার মতো দুষ্ট কাজে মদের হাত রয়েছে।   অতিরিক্ত মদপানের কারনে হৃদরোগের সমস্যা হতে পারে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, উচ্চরক্তচাপের আশংকা বাড়ে। ওজন বাড়তে পারে, হৃদপেশী বিকল হয়ে হার্টফেইলর বা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াও বন্ধ হতে পারে।  হতে পারে মস্তিস্কে স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতি ভ্রষ্টতা। মদপানকারীর মানসিক স্বাস্থ্যেরও বেশ অবনতি ঘটে। বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা, মানসিক অস্থিরতা, অনিদ্রা, কাজে একাগ্রতার অভাব সব কিছু মিলিয়ে একজন সুরাসক্ত মানুষ মনের দিক থেকে খুবই অশান্তিতে থাকেন। গর্ভবতী মা যদি মদ পান করেন তবে আগত সন্তানের মারাত্নক জন্মগত ত্রুটি দেখা দেয়। শিশুর শারীরিক গঠনে অস্বাভাবিকতা থাকে, মস্তিস্কের স্বাভাবিক পরিবর্ধন ও পরিবর্তন হয় না এবং এসব সমস্যার কোন সমাধান নেই।  যারা অল্প সময়ে প্রচুর অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সমস্যা দেখা দেয়, বাংলাতে যাকে আমরা মাতলামি বলতে পারি। মাতাল ব্যক্তি তার নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন, চলাফেরা ও কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা যায়। মানসিকভাবে উত্তেজিত হয়ে অপরের সাথে ঝগড়া, মারামারি করতে পারেন। মাতাল অবস্থায় গাড়ী চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেই মারা যায়। আমাদের দেশে বাস-ট্রাক ড্রাইভারদের অতিরিক্ত এক্সিডেন্টের অন্যতম কারণ এই মদাসক্তি। অনেকে অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় মারাও যেতে পারেন যারা একবারে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল পান করে ফেলেন।  যেসব পুরুষ মদ পান করেন সাময়িকভাবে তাদের মাঝে যৌন চাহিদা বাড়লেও পরবর্তিতে তাদের যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়। টেস্টেরোন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকেরা।মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহলের ক্ষতিকারক দিক পুরুষদের থেকে বেশি। মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের একটা অন্যতম কারণ হিসেবে মদপানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিসের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অ্যালকোহলিক নারীদের মাঝেই বেশি দেখা যায়।  মদ, মদিরা, সুরা, ব্রান্ডি, বিয়ার, শ্যাম্পেন, হুইস্কি, রাম ইত্যাদি যে নামেই ডাকিনা কেন এইসকল পানীয়তে রয়েছে অ্যালকোহল। সাময়িক আনন্দ, ফুর্তি, স্বস্তির স্বাদ পেতে মদের পথে ছুটে যান অনেকে, ফেরার পথে শরীরে নিয়ে আসেন মারাত্নক সব রোগব্যাধি। তাই আজ থেকে মন পরিহার করুন। সুস্থ দেহে সুস্থ মন নিয়ে বেঁচে থাকুন অনেকদিন।পাহাড়ে অনেক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্টানে সামাজিক রক্ষার্থে মদপান করে থাকি? আমরা কি জানি  মদপানে কতটা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।
প্রাচ্যের নিন্দনীয় পশ্চিমের জনপ্রিয় মদ বা অ্যালকোহলের প্রতি যদি থাকে আকর্ষণ, থাকে যদি  নিয়মিত পানের অভ্যাস তবে জেনে রাখুন আছেন মারাত্নক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। খারাপ ছাড়া ভালো কিছু নেই সুরাপানে। মদ পানের ক্ষতিকর দিকগুলো সঠিকভাবে জানলে অনেকেই হয়তো সুরাসক্তি থেকে সরে আসবেন, এই দিকটি মাথায় রেখেই আমাদের আজকের আয়োজন। কি না হয় মদ পানের কারনে? পা থেকে মস্তিস্ক পর্যন্ত সারা দেহই আক্রান্ত হয় মদের কুপ্রভাবের দ্বারা। অ্যালকোহল শরীরে বিপাকের মূল অঙ্গ লিভার। মদপানে এই লিভারের বারোটা বেজে যায়। ফ্যাটি লিভার, জন্ডিস, লিভার বড় হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে লিভার সিরোসিস নামের ভয়ংকর রোগ পর্যন্ত হতে পারে। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হলে অকালে মৃত্যুবরণের আশংকা বেড়ে যায় অনেকখানি। হতে পারে লিভার ক্যান্সার যার ফলাফল নিশ্চিত মৃত্যু।বুকজ্বালা, গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা বেড়ে যায়, অগ্নাশয়ে হতে পারে প্যানক্রিয়াটাইটিস বা আগ্নাশয়ের প্রদাহ যা খুব মারাত্নক। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে এটা রোগীর জীবনাবসান করাতে পারে। মুখগহবর, শ্বাসনালী ও খাদ্যনালি, কোলন বা বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারেও মদিরার ভূমিকা আছে। কিডনির আকার বাড়িয়ে দেয়া, কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে কিডনির হরমোনের ব্যালান্স নস্ট করা, কিডনি বিকলে ভূমিকা রাখার মতো দুষ্ট কাজে মদের হাত রয়েছে।  অতিরিক্ত মদপানের কারনে হৃদরোগের সমস্যা হতে পারে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, উচ্চরক্তচাপের আশংকা বাড়ে। ওজন বাড়তে পারে, হৃদপেশী বিকল হয়ে হার্টফেইলর বা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াও বন্ধ হতে পারে। হতে পারে মস্তিস্কে স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতি ভ্রষ্টতা। মদপানকারীর মানসিক স্বাস্থ্যেরও বেশ অবনতি ঘটে। বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা, মানসিক অস্থিরতা, অনিদ্রা, কাজে একাগ্রতার অভাব সব কিছু মিলিয়ে একজন সুরাসক্ত মানুষ মনের দিক থেকে খুবই অশান্তিতে থাকেন।গর্ভবতী মা যদি মদ পান করেন তবে আগত সন্তানের মারাত্নক জন্মগত ত্রুটি দেখা দেয়। শিশুর শারীরিক গঠনে অস্বাভাবিকতা থাকে, মস্তিস্কের স্বাভাবিক পরিবর্ধন ও পরিবর্তন হয় না এবং এসব সমস্যার কোন সমাধান নেই। যারা অল্প সময়ে প্রচুর অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সমস্যা দেখা দেয়, বাংলাতে যাকে আমরা মাতলামি বলতে পারি। মাতাল ব্যক্তি তার নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন, চলাফেরা ও কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা যায়। মানসিকভাবে উত্তেজিত হয়ে অপরের সাথে ঝগড়া, মারামারি করতে পারেন। মাতাল অবস্থায় গাড়ী চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেই মারা যায়। আমাদের দেশে বাস-ট্রাক ড্রাইভারদের অতিরিক্ত এক্সিডেন্টের অন্যতম কারণ এই মদাসক্তি। অনেকে অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় মারাও যেতে পারেন যারা একবারে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল পান করে ফেলেন। যেসব পুরুষ মদ পান করেন সাময়িকভাবে তাদের মাঝে যৌন চাহিদা বাড়লেও পরবর্তিতে তাদের যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়। টেস্টেরোন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকেরা।মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহলের ক্ষতিকারক দিক পুরুষদের থেকে বেশি। মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের একটা অন্যতম কারণ হিসেবে মদপানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিসের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অ্যালকোহলিক নারীদের মাঝেই বেশি দেখা যায়। মদ, মদিরা, সুরা, ব্রান্ডি, বিয়ার, শ্যাম্পেন, হুইস্কি, রাম ইত্যাদি যে নামেই ডাকিনা কেন এইসকল পানীয়তে রয়েছে অ্যালকোহল। সাময়িক আনন্দ, ফুর্তি, স্বস্তির স্বাদ পেতে মদের পথে ছুটে যান অনেকে, ফেরার পথে শরীরে নিয়ে আসেন মারাত্নক সব রোগব্যাধি। তাই আজ থেকে মন পরিহার করুন। সুস্থ দেহে সুস্থ মন নিয়ে বেঁচে থাকুন অনেকদিন।