উদ্বেগের কারণে অনেক সময় ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেসের সমস্যা হতে পারে। ছবি : ওমেন টু ওমেন
সাধারণত প্রবীণ নারীদের ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেসের সমস্যা বেশি হয়। তবে সব বয়সেই এটি হতে পারে। ভ্যাজাইনার টিস্যু ভালোভাবে (lubricant) পিচ্ছিল ও স্বাস্থ্যকর না থাকলে ভ্যাজানাইনাল ড্রাইনেসের সমস্যা হয়। এ সমস্যার কারণে অনেক সময় ভ্যাজাইনায় ব্যথা ও অস্বস্তি হতে পারে, বিশেষ করে সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের সময়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট এভরিডে হেলথ প্রকাশ করেছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
লক্ষণ
- ভ্যাজাইনায় ব্যথা, ইচিং অথবা জ্বালাপোড়া।
- সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের সময় ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- ইন্টারকোর্সের সময় হালকা রক্তপাত।
- হালকা স্রাব।
কেন এই সমস্যা হয়?
১. ইসট্রোজেন কম
ইসট্রোজেনের মাত্রা কম হওয়া ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেসের অন্যতম কারণ। ইসট্রোজেন হরমোন ভ্যাজাইনার টিস্যুকে পিচ্ছিল ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
অনেক কারণে ইসট্রোজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। যেমন :
- মেনোপজ (দীর্ঘ মেয়াদে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া) অথবা পেরিমেনোপজ (নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মেনোপজ হওয়া)
- শিশু জন্মের সময়
- শিশুকে স্তনদানের সময়
- ধূমপান
- সার্জারি বা ওভারি কেটে ফেলা
- কিছু ইমিউন ডিজঅর্ডার
- ক্যানসারের চিকিৎসার সময়
অ্যান্টিইসট্রোজেন ওষুধ সেবনে
২. অন্যান্য বিব্রতকর জিনিস
অনেক সময় কিছু সাবান, লোশন, পারফিউম ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে ভ্যাজাইনার স্বাভাবিক রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস হতে পারে।
৩. অন্যান্য ওষুধ
অ্যালার্জি, কোল্ড, অ্যাজমার যেসব ওষুধের মধ্যে অ্যান্টিহিসটামিন রয়েছে সেগুলো শরীরকে শুষ্ক করে দিতে পারে। এতেও ভ্যাজাইনার পিচ্ছিল পদার্থ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া কিছু অ্যান্টিডিপ্রেশন জাতীয় ওষুধও ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস তৈরি করতে পারে।
৪. উদ্বেগ
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ শারীরিক চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলে এবং এটি অনেক সময় ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস তৈরি করে।
৫. কম শারীরিক চাহিদা
অনেক সময় লো লিবিডো (কম কামশক্তি) বা অন্যান্য যৌন শারীরিক সমস্যা ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস লিবিডোকে কমিয়ে দিতে পারে।