ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:০৭:৫৪

বিষণ্ণতায় আক্রান্ত, কীভাবে বুঝবেন?

| ১৪ ভাদ্র ১৪২৪ | Tuesday, August 29, 2017

 

ঘুমের অসুবিধা, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, দীর্ঘদিন মন খারাপ ইত্যাদি বিষণ্ণতার লক্ষণ। এ ছাড়া বিষণ্ণতার আরো লক্ষণ রয়েছে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৩৭তম পর্বে কথা বলেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মো. আজিজুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : বিষণ্ণতার লক্ষণগুলো কী?

উত্তর : যেহেতু এটি মুড ডিজঅর্ডার, প্রথম শর্ত হলো মন খারাপ হওয়া। প্রথমে মুড অবনমিত হতে হবে। এ ছাড়া তার কাজকর্ম চলাফেলা ধীর হবে। উদ্যম, উদ্যোগ, স্পৃহা কমে যাবে।

ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘুম হয় না। খুব ভোরে হয়তো ঘুম ভেঙে গেল। আর হয়তো ঘুম হলো না। ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেস ভাব আসে না। খুম কম ক্ষেত্রে আবার বেশি ঘুমাতে পারে। খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে রুচি হয় না, ক্ষুধা লাগে না। দু-একটি ক্ষেত্রে খুব বেশি ক্ষুধা লাগতে পারে। আর কী হবে? তার চলাফেরাতে বিষণ্ণ থাকবে। দেখা যায়, অনেক সময় সব চিন্তা-চেতনা নেতিবাচক হয়ে যায়। আমরা বলি নেগেটিভ কগনিশন। ‘আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না। আমার কিছুই হয় নাই। ভবিষ্যতেও আমাকে দিয়ে কিছু হবে না।’ চিন্তাভাবনার মধ্যে এ রকম সমস্যা হয়। আবার অনেকের অপরাধবোধ হয়। ছোট ছোট কোনো অপরাধ ছিল তার। এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। এগুলো হলো মূলত বিষণ্ণতার লক্ষণ।

অনেক সময় বিষণ্ণতা শারীরিক উপসর্গ নিয়ে আসে। যেহেতু আমাদের দেশে মুডের কোনো দাম নেই। কেউ মনকে প্রাধান্য দেয় না। তাই অনেক ক্ষেত্রে আমাদের কাছে শারীরিক উপসর্গ নিয়ে আসে। যেমন : মাথাব্যথা নিয়ে আসে, শরীরে ব্যথা নিয়ে আসে। নারীদের ক্ষেত্রে বেশি মাথাব্যথা নিয়ে আসে। শরীর জ্বালাপোড়া করে, হাত জ্বালাপোড়া করে, খেতে পারে না। এসব লক্ষণ নিয়ে বেশি আসে।

প্রশ্ন : তারা কি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান?

উত্তর : সাধারণত যাঁরা শারীরিক উপসর্গ নিয়ে আসেন, সরাসরি মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে যান না। যাদের চিন্তাশক্তি নেতিবাচক থাকে, তারা হয়তো মানসিক চিকিৎসকের কাছে যান। না হলে মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে, নিউরোলজিস্টের কাছে যান।