ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:২৩:৩০

বাড়ির সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে অবসর সময়ে ফলের বাগান, রইল কয়েকটা টিপস

| ১ মাঘ ১৪২৫ | Monday, January 14, 2019

রোজকার কাজকর্মের বাইরে নিজের মতো করে সময় তো কাটান নিশ্চই? ভাবছেন এর মাঝেই পরিবেশবান্ধব কোনও কাজ করা যায় কি না? বেশ তো, বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গাটায় মনের মতো বাগান করুন না। বাড়ির শোভাও বাড়বে। প্রকৃতির অকৃপণ দানের কিছুটা ফেরত দেওয়ার সুযোগও তৈরি হবে। মনে হচ্ছে, খুব কঠিন কাজ? মোটেই না, লেবু, বেদানা, ডুমুরের মতো অন্তত ৭টি ফলের গাছ আছে, যা খুব সহজে বাগানে বাড়িয়ে তুলতে পারেন আপনি। রইল তেমনই কিছু কয়েকটি টিপস –

 

১. আপেল – খেয়ে ফেলে দেওয়া আপেলের বীজ থেকেই ঠিকঠাক পদ্ধতিতে গাছ হয়ে উঠতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, অন্তত দু ধরনের আপেলের বীজ মিলিয়ে তবেই গাছ তৈরির পথে যান। তাহলেই অল্প সময়ে ফলদায়ী হয়ে উঠবে গাছ।

২. বেদানা, ডালিম – শীতকাল এই গাছ ফলানোর উপযুক্ত সময়। ফলের বীজ উষ্ণ জলে ভাল করে ধুয়ে মাটিতে পুঁতে দিন। তাপমাত্রা অনুযায়ী প্রয়োজনমতো জল দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে চারা উঁকি দিতে শুরু করবে। এরপর পর্যাপ্ত রোদে গাছ বড় হয়ে উঠবে।

৩. চেরি – টকমিষ্টি ফলটি নিজের বাগানে পেতে হলে, একটু পরিশ্রম করতে হবে। বসন্ত শুরুর সময়টা চেরির জন্য আদর্শ। তবে এর জন্য বড়সড় জায়গা দরকার। কোনও গাছের কাছে বা ছাউনির নিচে চেরি গাছ হবে না।

৪. স্ট্রবেরি – ফলের বীজ থেকেই স্ট্রবেরি গাছ হয়। তবে আবহাওয়া উপযুক্ত হওয়া চাই। তাপমাত্রা একেবারে নিম্নমুখী হলে শুরু করুন স্ট্রবেরি চাষ।

৫. ডুমুর – আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ডুমুর গাছ করা খুব সহজ। জায়গাও কম লাগে। আর ডুমুরের উপকারিতা তো সকলেরই জানা।

৬. লেবু – বেশিরভাগ লেবু গাছ নিজে থেকেই বড় হয়ে ওঠে। বাংলার প্রায় ঘরে ঘরে লেবুগাছ পরিচিত দৃশ্য। ফলের উপকারিতা তো আছেই, এছাড়া ভূমিক্ষয় রোধে লেবুগাছের উপযোগিতার কথা জানেন সকলে।

খুব কঠিন মনে হ’ল? নিশ্চয়ই নয়। তাহলে আর কী? অবসর সময়ে করে ফেলুন বাগান। বাড়ির শোভা বাড়িয়ে তুলুন, থাকুন সবুজের মাঝে