২৫ আগষ্ট/ মৃদূ হৈ চৈ এর মধ্যদিয়ে নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারন সভা সম্পন্ন হয়েছে। ২৫ আগস্ট সোমবার বেলা ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ আদালতের আইনজীবী সমিতির ভবনে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী ২৫ সেপ্টম্বর জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বর্ার্ষিক কার্য বিবরণী পেশ ও অনুমোদন করা হয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. জাকির হোসেন বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন। সভায় অডিট রিপোর্ট পেশ ও অনুমোদন করা হয়। বারের সভাপতি এড. শাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারন সভায় নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন ও ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ আপীল বোর্ড গঠন করা হয়। নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী এড. মোঃ আকতার হোসেন, নির্বাচন কমিশনার এড. আশরাফুজ্জামান ও এড. কামরুন নাহার। আপীল বিভাগে রয়েছেন এড. শওকত আলী, এড. রমযান আলী, এড. হারুনুর রশীদ। নির্বাচন বোর্ডে এড. মাহবুবুর রহমান মাসুমের নাম থাকলেও তিনি ব্যস্ততার কারনে দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানান। সভায় আরও উপসি‘ত ছিলেন বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, এড. আনিসুর রহমান দীপু, এড. বারী ভূইয়া, জিপি হুমায়ুন কবির, এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম, এড. আকবর আলী, এড. মাসুদউর রউফ, এড. খোকন সাহা, এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, এড. হাবিব আল মুজাহিদ পলু প্রমুখ। সভায় প্রেসিডেন্ট এড. শাখাওয়াত হোসেন খান ভোট গননার সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশনার ৩ থেকে ৫ সদস্য করার প্রস্তাব করলে নির্বাহী পরিষদে সিদ্ধান্ত ছাড়া এ ধরনের প্রস্তাব দেয়ায় হৈ চৈ করে ওঠেন। পরে ৩ সদস্য বহাল রাখা হলে পরিসি‘তি শান্ত হয়। এদিকে সভার শেষদিকে নির্বাচনের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বও নির্ধারন করা হলেও সাধরন আইনজীবীদের দাবির মুখে ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়। নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর আইনজীবীদের মাঝে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা সাধারন আইনজীবীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। অনেকে ভোট চান। উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ফোরাম সাধারন সম্পাদকসহ ১০টি পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ ৬টি পদে জয়লাভ করে। ঐ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিএনপির সভাপতি প্রার্থীদের পরাজিত করে সতন্ত্র প্রার্থী বারের সাবেক সাধারন সম্পাদক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।