ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:৩১:২০

দিনে অন্তত পাঁচবার খান, অল্প করে

| ৩১ আশ্বিন ১৪২৪ | Monday, October 16, 2017

 

বেঁচে থাকার জন্য আমরা খাবার খাই। তবে খাবার খাওয়ার পদ্ধতিরও কিছু বিষয় রয়েছে। সাধারণত কিছু সময় পরপর খাবার খাওয়া ভালো। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৭৭তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক মোজাহেরুল হক। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা।

প্রশ্ন : একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষের কত ঘণ্টা পরপর খাওয়াটা ভালো?

উত্তর : পাঁচবার খেতে পারলে ভালো। প্রত্যেকবার অল্প অল্প খেতে হবে। খুব বেশি করে নয়। সেখানে আমি একটা কথা বলি সবসময়, সেটি হলো ‘অর্ধেক খাব’। আমার যা ক্যালোরির প্রয়োজন রয়েছে, ধরুন- দুই হাজার ক্যালোরির মতো আমার দরকার রয়েছে, আমাকে মনে রাখতে হবে এটিই আমি পাঁচবার ভাগ করে খাব। সকালবেলাটা আমি একটু বেশি খাব। আমি সকালবেলা বের হয়ে কাজে যাচ্ছি, মাঝখানে আমার একটি ছোট্ট স্ন্যাকস থাকতে পারে। এটি একটি লেবুর চা হতে পারে আবার গ্রিন টিও হতে পারে।
প্রশ্ন : সকালবেলা বেশি খাব মানে কি? আমরা তো নাস্তায় কম খাই। আমরা লাঞ্চ ও ডিনারে বেশি খাই।

উত্তর : আমাকে মনে রাখতে হবে আমি রাতে যেটি খাচ্ছি সেটি সবচেয়ে কম খেতে হবে। আর সকালে যেটি খাচ্ছি সেটি সবচেয়ে বেশি খেতে হবে। একটি কথা প্রচলিত, ইউ ব্রেকফার্স্ট লাইক এ কিং ( সকালের নাস্তা কর রাজার মতো)। লাঞ্চ লাইক এ কুইন (রানীর মতো দুপুরের খাবার খাও)। ডিনার লাইক এ পপার ( দরিদ্রের মতো রাতের খাবার খাও)। তাহলে সবচেয়ে বেশি খেতে হবে আমাদের সকালের নাস্তায়। আমাদের যে ক্যালোরি দুই হাজারের মতো দরকার, একে আমরা যদি ভাগ করে নিই তাহলে আমাদের রাতের ক্যালোরি সবচেয়ে কম পড়বে। সকালের ক্যালোরিটা বেশি হবে। দুটো স্ন্যাকসের ক্ষেত্রে আমরা সকাল ১১টা বা সাড়ে ১১টার দিকে নিতে পারি। আরেকটি বিকেল ৫টা বা সাড়ে ৫টার দিকে নিতে পারি। এখানে আমার একেবারে কম ক্যালোরি খেতে হবে। আর স্বাস্থ্যকর খেতে হবে। এর জন্য বাদাম হলো ভালো। আমরা বিস্কিটে যাব না। অন্য কোনো কিছুতে যাব না। আমাদের দেশি বাদাম কিন্তু অত্যন্ত ভালো। এটা আর একটি গ্রিন বা লেমন টি খেতে পারি। এটা ১১টায় খেতে পারি। আরেকটি হলো ৫টার দিকে আমরা ছোট্ট স্ন্যাকস নিতে পারি। ফলের কথা যদি আমরা ধরি, স্বাস্থ্যকর খাবারের ক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে ডেজার্ট যেটা রয়েছে, একে বাদ দিতে হবে। একটি ফল আমরা খেতে পারি। আমরা এমন কোনো জিনিস খাবো না যেগুলো স্বাস্থ্যকর নয়। আমরা কী খাই? ডেজার্টে আইসক্রিম থাকে, ফিরনি থাকে, এরপর পুডিং থাকে। এই ধরনের জিনিসগুলো অতটা স্বাস্থ্যকর নয়। সুতরাং স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য এগুলোকে যতটা পারা যায় এড়িয়ে যেতে হবে। এটি উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার। আমাদের মনে রাখতে হবে যে যারা বয়স্ক মানুষ তাদের কিন্তু একটি জিনিস প্রয়োজন রয়েছে। সেটি ক্যালসিয়াম। এই জন্য তারা টক দইটা খেতে পারেন। এটা তারা দুপুর ও রাতের খাবারে যোগ করে নিতে পারেন। এটা তাদের জন্য খুব ভালো হবে। আর সুগার বাদ দিতে গিয়ে আমাদের সফট ড্রিংকের বিষয়টি মনে রাখতে হবে। এটা সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে হবে। এটি কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। অনেক সময় আমরা বলি যে শূন্য ক্যালোরি বা লো ক্যালোরি। এটি কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। এর বদলে আমরা যদি চিনির শরবত খাই, লেবু দিয়ে তাহলে বরং স্বাস্থ্যকর। অথবা একটি ফ্রেশ  ফ্রুট জুস খাই, সেটি বরং স্বাস্থ্যকর।

প্রশ্ন : মিষ্টি বাড়ানোর জন্য বিকল্প যে উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলো কী স্বাস্থ্যকর?

উত্তর : সোজা কথায় বলতে হবে, এগুলো না খেলেই ভালো। এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত নয়। স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে।