অবৈধ দখল ও খাল ভরাট হওয়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা সেচ প্রকল্প বা ডিএনডি এলাকায় এবার জলাবদ্ধতা সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে উপায়গুলো জানে সরকারি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উদ্যোগের অভাবে নাগরিক কষ্টের অবসান হচ্ছে না। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডিএনডিবাসী। বর্ষাকাল আর ডিএনডিবাসীর দুর্ভোগ প্রতি বছরের ঘটনা। ১৯৮৮ সালের বন্যায় পানি উঠেনি এই এলাকায়। তাই বাঁধের ভেতর গড়ে উঠে হাজারো ঘরবাড়ি, শিল্পকারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখন বিপাকে সবাই।
বাঁধের ভেতরের পানি সরে যাওয়ার খালগুলো বেদখল হয়েছে আগেই, এলাকাবাসীর অসচেতনতায় ময়লা-আবর্জনার স্তুপ জমেছে প্রতিটি খালেই। আর নিজেদের দায়েই দুর্ভোগের কবলে মানুষ।
পানি নিষ্কাষণে কাজ করছে না খাল। এই অবস্থায় ভরসা পাম্প হাউজ। কিন্তু পাঁচ দশকের পুরনো পাম্পের সে ক্ষমতা নেই। জলাবদ্ধতা দূর করতে খালের আবর্জনা অপসারণের পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতার অন্তত তিনটি পাম্প বসানোর কথা বলছেন পাম্প হাউজের প্রধান।
নতুন পাম্প বসাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে শিমরাইল পাম্প হাউজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই উদ্যোগ কবে নেয়া হবে বা আদৌ নেয়া হবে কি না, তা জানা নেই কারও।