একজন ডায়াবেটিক রোগীর অন্যদের চেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেশি, স্ট্রোক বা পক্ষাঘাত হওয়ার ঝুঁকি ছয় গুণ, কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি পাঁচ গুণ, অন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ২৫ গুণ এবং পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়ে পা হারানোর আশঙ্কা ২০ গুণ বেশি।
এসব ঝুঁকি, আশঙ্কা ও সম্ভাবনা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় একজন ডায়াবেটিক রোগীকে। তবে এসব ঝুঁকির অনেক কিছুই তিনি প্রতিরোধ করতে পারেন, যদি রোগ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকে।
ডায়াবেটিস-জনিত জটিলতা ঠেকানোর প্রধান উপায় হলো রক্তে শর্করা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। এ নিয়ে রোগীদের কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে। কেননা, রক্তে শর্করা অনেক বেশি বেড়ে না গেলে সাধারণত বেশি পিপাসা, ঘন ঘন প্রস্রাব বা ওজন হ্রাসের মতো উপসর্গ দেখা দেয় না। কোনো উপসর্গ না দেখা দেওয়ার মানে এই না যে শর্করা নিয়ন্ত্রণে আছে।
নিয়ন্ত্রণ মানে হলো অব্যাহতভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ
খালি পেটে ৬ মিলিমোল বা তার কম, খাওয়ার দুই ঘণ্টাপর ৮ মিলিমোলের কম এবং তিন মাসের গড় শর্করা এইচবিএওয়ান সি ৭ শতাংশের কম থাকা। এর ব্যতিক্রম হলেই শুরু হবে নানা জটিলতা।