ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:১৩:৫০

জেলে পাঁচ বছরে সঞ্জয়ের সঞ্চয় ৪৫০ রুপি!

| ১৩ ফাল্গুন ১৪২২ | Thursday, February 25, 2016

সঞ্জয় দত্ত

মাত্র ৪৫০ রুপি হাতে নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ইয়েরাওয়াড়া কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হবেন বলিউডের তারকা অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। কারাগারে থাকাকালীন কাজ করে তাঁর যা আয় হয়েছিল, তা থেকে খরচ বাদ দিয়ে সঞ্জয়ের এই ৪৫০ রুপিই অবশিষ্ট রয়েছে! কারাবাসের পাঁচ বছরে সঞ্জয়ের সঞ্চয় এই ৪৫০ রুপিই!
জেলখানায় পাঁচ বছর আংশিক অভিজ্ঞ শ্রমিক হিসেবে কাজ করে অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত আয় করেছেন মোট ৩৮ হাজার রুপি। কিন্তু এর বেশির ভাগই তিনি খরচ করে ফেলেছেন। তাই বাড়ি ফেরার সময় হাতে নিয়ে যেতে পারছেন খুবই অল্প, মাত্র ৪৫০ রুপি! আগামীকাল বৃহস্পতিবার মুক্তি পেতে যাচ্ছেন সঞ্জয়।

জেলের একটি সূত্র সম্প্রতি জানিয়েছে, সঞ্জয় তাঁর সাজা ভোগ করার সময়টায় সেখানে কাগজের ব্যাগ তৈরি করেছেন। কিছুটা অভিজ্ঞ শ্রমিক হিসেবে এ কাজের জন্য সেখান থেকে তিনি দৈনিক ৫০ রুপি করে ভাতা পেয়েছেন।

সূত্রটি বলেছে, ‘তিনি সব মিলিয়ে কম করে হলেও ৩৮ হাজার রুপি আয় করেছেন। কিন্তু জেলের ক্যানটিন থেকে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সেই অর্থের অনেকটাই খরচ হয়ে গেছে। আর এখন যাওয়ার বেলায় তাঁর হাতে মাত্র ৪৫০ রুপি দেওয়া হবে।’

তবে, সঞ্জয় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যে ২৫৬ দিন জেলের বাইরে ছিলেন, সেই দিনগুলো বাদ দিয়েই করা হয়েছে এই অর্থের হিসাব। ‘মুন্না ভাই’ খ্যাত অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে রাখা হয়েছিল উচ্চ নিরাপত্তার কারাগারে। সেখানে জেলের এফএম রেডিওতে রেডিও জকি হিসেবে সপ্তাহে দুদিন বন্দীদের বিনোদন দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।

জেলের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘একজন অভিনেতা হিসেবে তিনি তাঁর অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন সঙ্গের বন্দীদের। অপরাধ ছেড়ে দিয়ে সুপথে ফিরে আসতে তাঁদের উৎসাহিত করেছেন। তাঁর সঙ্গের বন্দীরা সেসব গল্প ও কৌতুক শুনে বেশ উজ্জীবিত হয়েছেন। একজন বাধ্য বন্দী হিসেবে ‘সঞ্জু বাবা’কে (সঞ্জয় দত্ত) আমরা মনে রাখব।’

মধ্য-পঞ্চাশের সঞ্জয়ের কারাদণ্ড হয়েছিল অননুমোদিত অস্ত্র সঙ্গে রাখা এবং ধ্বংস করার অপরাধে। ১৯৯৩ সালের মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের সময় ২৫৭ জন নিহত হয়। তখন সঞ্জয়ের কাছে একটি একে-৫৬ অস্ত্র পাওয়া যায়, যার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে দেব দুলাল গুহ।