ঢাকা, মে ৮, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২২:৫১:৩৪

চলচ্চিত্র হোক সামাজিক কুসংস্কার, কূপমণ্ডুকতা আর ধর্মান্ধতা প্রতিরোধের হাতিয়ার : প্রধানমন্ত্রী

| ৭ বৈশাখ ১৪২৩ | Wednesday, April 20, 2016


ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব স্বকীয়তায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের চলচ্চিত্র দেশের সীমানা পেরিয়ে যাতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপ্তিলাভ করে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র হোক সামাজিক কুসংস্কার, কূপমণ্ডুকতা আর ধর্মান্ধতা প্রতিরোধের হাতিয়ার। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ প্রতিফলিত হোক আমাদের চলচ্চিত্রে। নিজস্ব স্বকীয়তায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের চলচ্চিত্র দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপ্তিলাভ করুক- এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী আজ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন। এ উপলক্ষে তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী-কুশলী একইসঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলী, পরিবেশক, দর্শকসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র মানুষের জীবনসংগ্রাম ও সমাজ বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। নান্দনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে চলচ্চিত্র মানুষের মনোজগতকে আন্দোলিত করে। বিশেষ করে ছাত্র ও যুবমানসে সুদূরপ্রসারী প্রভাব সৃষ্টির অপরিমেয় ক্ষমতা রয়েছে চলচ্চিত্রের। চলচ্চিত্রকে তাই শিক্ষা বিস্তার, দেশগঠন ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
চলচ্চিত্রের এই প্রভাব ও শক্তির কথা অনুধাবন করেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তদানীন্তন প্রাদেশিক আইন পরিষদে ‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বিল’ উত্থাপন করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ জাতির পিতার সেদিনের ঐতিহাসিক উদ্যোগের ফলেই দেশের চলচ্চিত্র ও বাংলা সংস্কৃতি বিকাশে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর ফলেই এদেশে বাংলা চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। ’
শেখ হাসিনা বলেন তার সরকার ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রেক্ষাগৃহের কর অব্যাহতি, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকা-কে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা, অনুদান প্রদান, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, চলচ্চিত্র আর্কাইভের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও নিজস্ব ভবন নির্মাণসহ এ খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস পালন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার ২০১৪ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।