ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৫:৩৯:২২

গোপীনাথ পাগল হয়ে গেছেন- আব্দুল হাই

| ২২ আষাঢ় ১৪২২ | Monday, July 6, 2015

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক মো: আব্দুল হাই লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, কমান্ডার গোপীনাথ এধরণের বক্তব্য দিয়ে পাগলের পরিচয় দিয়েছেন।

তিনি পাগল হয়ে গেছেন বলেই এসকল ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ, আমি ওসমান পরিবারের সাথে থেকে রাজনীতি করে এসেছি। আর আমাকে জেলা পরিষদের প্রশাসক বানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমান্ডার গোপীনাথের ক্ষমতায় যদি আমি জেলা পরিষদের প্রশাসক হই তবে তিনি কেন আমাকে এখনো এ পদে রেখেছেন। জেলা পরিষদের প্রশাসক পদ দিতে তার যদি ক্ষমতা থাকতো তবে তিনিই আমাকে এ পদ থেকে বহিস্কারের ব্যবস্থাও করতে পারতেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর সাহার বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির সংবাদ প্রকাশের বিরোধীতা করে শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে উপস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কমান্ডার গোপীনাথ দাস বলেন, শংকর সাহার মত আমার বিরুদ্ধেও অপ-প্রচার করেছিল জেলা পরিষদ প্রশাসক মো: আব্দুল হাই। পূর্বে সে আমার সাথে চলাফেরা করে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে জেলা পরিষদের প্রশাসক হয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ-প্রচার করছে। জেলা পরিষদ কারো বাবা’র সম্পত্তি না। এর ক্ষমতার অপব্যবহার করা চলবেনা।
প্রসঙ্গত, গত (১৬ জুন) নারায়ণগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সবংর্ধনা ও সম্মাননা চেক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা পরিষদ। সকালে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে উক্ত অনুষ্ঠানের অতিথিদের মঞ্চে বসার সুযোগ না পেয়ে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কয়েকদফা প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল হাইকে নানা ভাবে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে বিব্রতের মধ্যে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধাদের আসনে বসে থাকা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কমান্ডার গোপীনাথ দাস। ফলে জেলা পরিষদ প্রশাসক অনেকটা বেকায়দায় পড়েই মঞ্চে অতিথির আসনে বসান গোপীনাথ’কে। এতে গোপীনাথ মঞ্চে বক্তৃতা দেয়ার সুযোগও পান।
কিন্তু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘কুকুর’ বলে কটুক্তি করে বেকায়দায় পড়েন নিজে, বেকায়দায় ফেলেন অনেক’কেই। যদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা বিএনপি নেতা সদর ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদ্বয় গোপীনাথের কটুক্তির কোন প্রতিবাদ করেনি। পরবর্তীতে এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে শুরু হয় তোলপাড় । নারায়ণগঞ্জের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের  শীর্ষ স্থানীয় নেতা এড. তৈমূর আলম, মাকসুদুল আলম খোরশেদ, ছাত্রদল এর তীব্র প্রতিবাদ করেন । বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জেলা পরিষদকে জড়িয়ে গোপীনাথের এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় গত (১৮ জুন) জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এম রাশেদুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার বিভাগের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে স্বঘোষিত যুদ্ধকালীন কমান্ডার গোপীনাথ দাস একটি বিতর্কিত বক্তব্য দেন । যার সাথে জেলা পরিষদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। জেলা পরিষদ কোন রাজনৈতিক/ বিতর্কিত বক্তব্যকে সমর্থন করেনা। ভবিষ্যতে জেলা পরিষদ এধরনের লোকেদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে।

তথ্য সূত্র-লাইভ নারায়ণগঞ্জ