ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০০:৩১:৩২

গর্ভাবস্থায় ব্লাড প্রেশার এবং ডায়াবেটিকস এর সময় করনীয়

| ১৮ শ্রাবণ ১৪২৩ | Tuesday, August 2, 2016

গর্ভাবস্থায় ব্লাড প্রেশার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। অনেক সময় ব্লাড প্রেশার এর কারনের অতিরিক্ত খিচুনির জন্য গর্ভের বাচ্চা মারাও যেতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের ব্লাড প্রেশার ব্যাপার টা কে কোন ভাবেই হালকা করে দেখা যাবে না।

 সাধারণত ৫ম মাস থেকে এই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা হতে পারে। তখন মায়ের শরীর অনেক খানি ভারী হয়ে যায় আর মাকে তখন খুব সাবধানে চলা ফেরা করতে হয়। এখন কীভাবে বুঝবেন যে আপনার হাই ব্লাড প্রেশার চলছে? লক্ষন গুল কি কি?

হাই ব্লাড প্রেশারের লক্ষন গুলো নীচে দেয়া হল ঃ

  • হটাত করে হাত পা মুখ অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যাওয়া
  • অসম্ভব মাথা ব্যথা
  • হটাত করে চোখে ঘোলা দেখা
  • পেটে ব্যথা

এই লক্ষন গুলো দেখা মাত্রই আপনি ডক্টর এর শরণাপন্ন হবেন। খুব তাড়াতাড়ি ভাবে আপনজনের নাম্বারে ফোন দিতে পারেন কারন আপনজনের ডক্টর রা তাৎক্ষণিক আপনাকে খুব ভালো কিছু সাজেশন দিতে পারবে যাতে আপনি কিছু টা হলেও আরাম পান। মনে রাখবেন না জেনে কোন প্রেশারের মেডিসিন খাবেন না। আপনাদের এই ধরনের সমস্যা গুলোর সঠিক সমাধান দেবার জন্যই আপনজন টীম কাজ করছে।

অনেক সময় ই গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের ডায়বেটিক্স ধরা পরে যেটা নিয়ে অনেকেই খুব চিন্তায় থাকেন। এটা অনেক সময় ৫ম মাসেই দেখা যায়। আসলে ৫ম মাস টা যে কোন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব ই গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। কিন্তু সব চেয়ে ভাববার ব্যাপার হল গর্ভাবস্থায় যে ডায়বেটিক্স টা হয় সেটা সাধারন ডায়বেতিক্স থেকে আলাদা।

গর্ভাবস্থায় ডায়বেটিক্স এর লক্ষন গুলো নীচে দেয়া হল, যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে এখন ডক্টরের পরামর্শ নিন অথবা আপনজনের নাম্বারে ফোন দিয়ে জেনে নিন এই মুহূর্তে কি করা উচিতঃ

  • বার বার পিপাসা পাওয়া
  • মুখ শুকিয়ে আসা
  • ঘন ঘন পেশাব পাওয়া
  • অতিরিক্ত দুর্বল লাগা
  • চোখে ঘোলা দেখা

এই লক্ষন গুলো দেখা দেয়ার সাথে সাথেই আপনাকে ডক্টরের সাথে কথা বলতে হবে। কারন গর্ভাবস্থায় ডায়বেটিক্স খুব বেশি সুবিধার হবে না বাচ্চার জন্য।

স্বামী হিসেবে করনীয়

আপনার স্ত্রী গর্ভবতী হবার পর সে সব চেয়ে বেশি সময় চাইবে আপনার, হয়ত আপনি চাকুরী বা কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকেন কিন্তু মনে রাখবেন আপান্র স্ত্রী সুস্থ থাকলেই সুস্থ থাকবে আপনার সন্তান। তাই স্ত্রী কে সর্বদা হাসিখুশি রাখার দায়িত্ব আপনার। তাছাড়া আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের ও আপনাকেই বোঝাতে হবে কীভাবে এখন আপনার স্ত্রী কে সহয়তা করা উচিত। ডায়বেটিক্স বা ব্লাস প্রেশার দুই টি ব্যাপার ই এই সময়ে খুব ভালো প্রভাব ফেলবে তাই আপনিও খুব সচেতন থাকবেন এই সময় এ।