ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ শাকের মধ্যে লালশাক অন্যতম। লালশাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অন্যান্য শাকের তুলনায় বেশি।
কী আছে
১০০ গ্রাম লালশাকে ক্যালসিয়াম রয়েছে ৩৭৪ মিলিগ্রাম। এ ছাড়া শর্করা ৪.৯ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ৫.৩৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ০.১০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১১.৯৪ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ ১.৬০ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৩ কিলো ক্যালোরি।
উপকারিতা
♦ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
♦ লালশাকের এন্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
♦ মস্তিষ্ক ও হৃৎপিন্ড সচল রাখতে সহায়তা করে।
♦ ক্যালসিয়াম দেহের জন্য দরকারি উপাদান। বিশেষ করে দাঁতের সুস্থতা, হাড় গঠনে এই শাক উপকারী।
♦ গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেক বেশি। অর্থাৎ ১৫০০ থেকে ২০০০ মিলিগ্রাম। তাই লালশাক খেলে এই চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে।
♦ বাড়ন্ত শিশুর ক্যালসিয়ামের অভাব হলে দাঁত ও হাড়ের গঠন ঠিকমতো হয় না, ফলে শিশুর দৈহিক গঠন দুর্বল হয় এবং হাঁটাও বিলম্ব হয়। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের লালশাক খাওয়ার অভ্যাস করলে এ সমস্যা হবে না।
♦ ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের রিকেটস এবং বয়স্কদের অস্টিওপোরেসিস রোগ হয়। সুতরাং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে অন্যান্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি সস্তা ও সহজলভ্য লালশাক খাওয়া উচিত।
♦ লালশাক রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। ফলে যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে, তারা নিয়মিত লালশাক খেলে এ ঘাটতি পূরণ হবে।
♦ লালশাক ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর। লালশাক নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
♦ ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লালশাক যথেষ্ট উপকারী। এ ছাড়া এটি শরীরের ওজন হ্রাস করে।
♦ লালশাক খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
♦ ভিটামিন ‘সি’র অভাবজনিত স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
♦ দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করে।