ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:২০:২২

ক্যাপসিকাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে…

| ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ | Monday, May 23, 2016

 

three paprica on white

বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস একটি কমন রোগ। এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সত্যিই কঠিন। তবে বর্তমান এক গবেষণায় বেড়িয়ে এসেছে ক্যাপসিকাম ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সবুজ, লাল ও হলুদ ক্যাপসিকাম কাঁচা খেলে কমতে পারে ডায়াবেটিস।

সিনিয়র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট এবং লিড লেখক, অশোক কুমার তিওয়ারি বলেন, ‘হলুদ এবং সবুজ উভয় ক্যাপসিকামই রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে’।

ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ক্যাপসিকামে থাকা হজমে সহায়তাকারী এনজাইম অলফা-গ্লুকোসিডেজ কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে, প্যানক্রিয়াটিক লাইপেজকে লিপিড ও ফ্যাটকে ফ্যাটি অ্যাসিডে ভাঙতে পারে। হলুদ ক্যাপসিকাম কার্বোহাইড্রেট ও লিপিডের ডায়জেশনের মাত্রাও কমাতে পারে। ফলে শুধু ডায়বেটিস নয়, কাঁচা ক্যাপসিকাম খেলে কমতে পারে ওজনও।

ডা. অশোক কুমার আরও জানান সবুজ ক্যাপসিকামের থেকে দ্বিগুণ উপকারী হলুদ ক্যাপসিকাম। কার্বোহাইড্রেট ও লিপিডের ডায়জেশনের মাত্রা কমলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে। ফলে হাইপারগ্লাইসেমিয়া ও হাইপারলিপিডেমিয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই সালাডের সঙ্গে হলুদ ক্যাপসিকাম খাওয়া অত্যন্ত উপকারী বলে জানিয়েছেন ডা. তিওয়ারি।

লাল ক্যাপসিকাম শরীরে লিপিডের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে হলুদ ক্যাপসিকামের সমগুণযুক্ত হলেও গ্লুকোসিডেজ ক্ষমতা সবুজ ক্যাপসিকামের মতো। লাল ও হলুদ ক্যাপসিকামের মধ্যে পাওয়া যায় অলিগোমেরাইজড অ্যানথোসিয়ানিনস যা সবুজ ক্যাপসিকামে অনুপস্থিত। যার ফলে উজ্জ্বল রঙ হয় হলুদ ও লাল ক্যাপসিকামের।