ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০২:৩৪:৫২

আটকাপড়া হাতিটি উদ্ধারে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ অভিযান

| ২০ শ্রাবণ ১৪২৩ | Thursday, August 4, 2016

ঢাকা : ভারত থেকে বণ্যার পানিতে বাংলাদেশে ভেসে আসা বন্য হাতিটিকে উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত আজ যৌথ অভিযান চালিয়েছে। সরকারি সূত্র এ খবর জানায়।
বাংলাদেশের প্রধান বন রক্ষক মোহাম্মদ ইউনুস আলী বাসসকে জানান, ভারতের একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বন রক্ষকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল আজ আমাদের বন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জামালপুর জেলার উত্তরাঞ্চলে শহরিশাহ্বাড়িতে এ যৌথ উদ্ধার অভিযান চালায়। তিনি আরো জানান, হাতিটি উদ্ধারে যৌথ উদ্ধারকারি দলটি প্রয়োজনীয় ওষুধসহ ট্রানকুইলাইজার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিয়ে এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
বাংলাদেশের প্রধান বন রক্ষক বলেন, সম্ভব হলে ভারত হাতিটিকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। অন্যথায় হাতিটি আমাদের দেশেই থেকে যাবে। তিনি বলেন ২০০৪ সালে এবং ২০১৩ সালে এ ধরনের দুটি ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে একটি হাতি ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছিল। তবে অপর একটি হাতি ফিরিয়ে নেয়ার পথে মারা যায়।
আলী বলেন, গত ২৭ জুন হাতিটি ব্রম্মপুত্র নদী পাড় হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর পর থেকে বাংলাদেশের বন বিভাগের সঙ্গে ভারত যোগাযোগ রেখে আসছে। হাতিটির গতিবিধির ওপর নজর রাখা এক জন বন কর্মকর্তা বলেন, হাতিটি অস্বাভাবিক আচরন করছে। তিনি বলেন, হাতিটি দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে আমরা হাতিটিকে ধান গাছ, আখ গাছ এবং কলাগাছের মতো খাবার সরবরাহ করছি। এটি এখনো হি¯্র হয়ে উঠেনি। বন কর্মকর্তা অশোক বলেন, হাতিটির বিশ্রামের প্রয়োজন। কিন্তু এলাকায় উচু ভূমিতে শুকনা জায়গা না থাকায় বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এলাকা বন্যা প্লাবিত হওয়ায় মানুষ ঘড়বাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
হাতিটি ২৭ জুন সীমান্ত নদী ব্রম্মপুত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে মিডিয়ার দৃষ্টিতে পড়ে। এরপর প্রতিদিন শত শত লোক নৌকায় করে এসে হাতিটিকে এক নজর দেখতে ভীড় করছে।