ঢাকা, জুলাই ৬, ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২, স্থানীয় সময়: ০৫:২৭:৫৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কালিপদ মজুমদারের বাড়িতে হামলা: ঘটনাস্থল পরিদর্শনে হিউম্যান রাইট ডেভলপমেন্ট সেন্টার ও জাতীয় হিন্দু ফোরাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের অগ্রযাত্রাকে গঠনমূলক সমালোচনায় গতিশীল করবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায় আগামীকাল সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ড. ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহের নিন্দা জানাল ঢাকা কাল থেকে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে পর্যটকবাহী জাহাজ : অনুমোদন পেয়েছে ৩ জাহাজ পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক কমাতে নেমেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি টিম আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন ৫০ বিশিষ্ট নাগরিক কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

বাংলাদেশের বিশ্বমানের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

| ২৬ অগ্রহায়ন ১৪২৮ | Friday, December 10, 2021

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, তাঁর সরকার খেলোয়াড়দের যথাযথ প্রশিক্ষণের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করবে, কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশের বিশ্বমানের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো। বিকেএসপি প্রত্যেকটি বিভাগে আমরা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আরো দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়ে গেছে বাকীগুলোও আমরা করে দেব। যাতে করে সেখানে খেলাধূলার বিষয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভাল প্রশিক্ষণ নিতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমরা করে দিচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনুর্ধ্ব-১৭) ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭)-২০২১ চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা উপভোগ করে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ষ্টেডিয়ামের মূল আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। খেলাধূলা এবং শরীরচর্চা তরুণ প্রজন্মের সঠিক বিকাশের জন্য খুব প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশে সারাবিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল, কোনক্ষেত্রেই আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাইনা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আর সেই বিজয়ী জাতি হিসেবেই বিশ^ দরবারে মাথা উঁচু করে আমরা চলবো। আজকের তরুণ ক্রীড়াবিদদের তিনি আগামীর ভবিষ্যত উল্লেখ করে বলেন, তিনি বলেন, আমি জানি যতবেশি আমাদের ছেলে-মেয়েদের খেলাধূলা এবং সংস্কৃতিচর্চায় সম্পৃক্ত রাখতে পারবো ততই তারা বিপথে যাবেনা, মাদক ও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হবেনা। সুস্থভাবে পড়াশোনা এবং খেলাধূলা চালিয়ে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হবে- সেটাই আমি চাই।

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭) এর ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধের কিছু অংশ গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উপভোগ করেন। এতে রংপুর বিভাগ ১-০ গোলে ময়মনসিংহ বিভাগকে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে। অন্যদিকে দিনের অপর খেলায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনুর্ধ্ব-১৭) এর ফাইনালে সিলেট বিভাগ রাজশাহী বিভাগকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে সিলেট বিভাগের অনিক দেব বর্মন টুর্নামেন্টের সেরা খোলোয়াড় এবং একই বিভাগের আসাদ উদ্দিন ম্যান অব দি ফাইনাল নির্বাচিত হন। যৌথভাবে সিলেট বিভাগের অনিক দেব বর্মন এবং রাজশাহী বিভাগের হাবিবুর রহমান টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার লাভ করেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে রংপুর বিভাগের নাসরিন সেরা খেলোয়াড় এবং একই বিভাগের শাম্মী আখতার ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। রংপুর বিভাগের নাসরিন এবং খুলনা বিভাগের সন্ধ্যা যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ গোলাদাতার পুরস্কার লাভ করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিজয়ী এবং বিজিত দলের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ট্রফি এবং খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত মেডেল প্রদান করেন। তিনি খেলোযাড়দের মাঝে করোনাকালিন বিশেষ অনুদানের চেকও প্রদান করেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী সালাহউদ্দিন এবং ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবারাজা ডি অলিভিয়েরা পুরস্কার প্রদান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।