ঢাকা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:৩৩:২৮

হিন্দু নির্যাতন, প্রতিমা ভাংচুর ও ৭দফা দাবিতে জাতীয় হিন্দু ফোরামের মানববন্ধন

| ২৮ আশ্বিন ১৪৩০ | Friday, October 13, 2023

---

১৩ অক্টোবর রোজ শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু নির্যাতন, প্রতিমা ভাংচুর, কবি রাধাপদ রায়ের উপর শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দূর্গা পূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ও অধিকতর নিরাপত্তা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ৭দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম,হিন্দু যুব ফোরাম ও হিন্দু ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার এর সভাপতিত্ত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেন্য ব্যাক্তিত্ত্ব বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির মন্যবর সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল ,সহ-সভাপতি কালীপদ মজুমদার, হিন্দু সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হিরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস,ভক্ত সংঘের উপদেষ্টা নিত্যগোপাল ঘোষ,বিশ্বাস,ভক্ত সংঘের সাঃ সম্পাদক অনিল পাল, আইন বিষয়ক সম্পাদ এড. বাসুদেব গুহ, সহ-সাঃ সম্পাদক এড. মৃনাল কান্তি দত্ত বাপ্পি, দপ্তর সম্পাদক গোপাল চন্দ্র মন্ডল,প্রচার সম্পাদক লোকনাথ বিশ্বাস,সহ প্রচার সম্পাদক সঞ্জিত মন্ডল,আরও ছিলেন হিন্দু যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুমন গোস্বামী পুলক ,সহ-সভাপতি দিপংকর সাহা(নয়ন) সাধারন সম্পাদক মানিক সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন দাস, হিন্দু ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রেীয় কমিটির সভাপতি অজয় কুমার বিশ্বাস, সহ-সভাপতি রাজীব দাস, সাঃ-সম্পাদক সুফল কুমার মন্ডল,সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জীত দাস সহ হিন্দু ফোরাম,হিন্দু যুব ফোরাম ও হিন্দু ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রীয়,জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

 ---

উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডঃ মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মানে এবং সকলের সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদেশকে স্বাধীন করেছিলাম কিন্তু আজও হিন্দু সম্প্রদায তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। এখনো সারা বছর দেশের কোন না কোন স্থানে হিন্দু নির্যাতন সহ পূজা ও নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অন্ধকার অমানিশার কালো মেঘ নেমে আসে আমরা এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান চাই। একটি দুষ্ট চক্র সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অব্যাহতভাবে এহীন কার্য ও চক্রান্ত করে চলছে এ বিষয়ে সরকারকে আরো বেশি সজাগ থেকে অবিলম্বে এ সমস্ত সমস্যা সমাধানকল্পে দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, নতুবা এ পরিস্থিতির কোন উন্নতি হবে না ।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানিক চন্দ্র সরকার বলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচ দিনের দুর্গাপূজায় মাত্র একদিন ছুটি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই দুর্গা পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় রীতিনীতি শেষ করতে পারেন না। আমরা প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রীর নিকট দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটির দাবি জানিয়ে এসেছে কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ পর্যন্ত তার কোন উত্তর মিলেনি । যে দুর্গাপূজা ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত অথচ হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গা পূজায় ৩ দিনের সরকারী ছুটির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেলেও হিন্দু নির্যাতন ও প্রতিমা ভাঙচুর কারীদের এখনো দমন করা সম্ভব হয়নি। স্বাধীন দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় জনগোষ্ঠী তাদের পূজা ও যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান এখনো পুলিশ পাহারায় উদযাপন করতে হয় এ বড় লজ্জার বিষয়। মুখে মুখে সবাই অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেও সত্যিকার অর্থে আমরা কি অসাম্প্রদায়িক হতে পেরেছি ।অবিলম্বে সরকারকে হিন্দু নির্যাতন বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের ৭দফা দাবি ও নির্বাচনী ইশতাহার পূরণ করতে হবে।তিনি কবি রাধাপদ রায়ের উপর শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম সহ সমমনা সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত হয়ে উপরোক্ত বিষয়ে সুষ্ঠ সমাধান সহ আরো সাত দফা দাবি জানিয়েছে ।

দাবিসমূহ হলো…

১।*সংখ্যালঘু বিষয়ক কমিশন / মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

২।*হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করতে হবে।

৩।*হিন্দু পারিবারিক আইন ও বিবাহ আইন পরিবর্তন ও সংযোজন করা চলবে না ।

৪।*জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা রাখতে হবে ।

৫।*দুর্গাপূজায় ৩দিন ও রথ যাত্রায় ১দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে।

৬।*দুর্গাপূজায় ৩দিন ও রথ যাত্রায় ১দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে ।

৭।*সরকারি চাকুরিতে ২০% কোটার ব্যবস্থা করতে হবে।