ঢাকা : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন,বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের সুবর্ণ সময়ের সিংহভাগই রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সুশাসন ও গণমানুষের স্বার্থে ব্যয় করেছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্প ও কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) উদ্যোগে আয়োজিত মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিটাক-এর মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: জাফর উল্লাহ্সহ মন্ত্রণালয় এবং বিটাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী মন্ত্রী উল্লেখ করেন, দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি (বঙ্গবন্ধু) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছুটে গেছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু মুজিব খুব বড় মাপের নেতা হয়েও একদিকে গণতন্ত্রের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে অনাহারে-অর্ধাহারে তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সাথে ছিলেন। অপরদিকে নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন ও সৌহার্দ্যতা বজায় রেখেছিলেন।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, তথ্যের নিবিড় প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিবেদিত-প্রাণ। বঙ্গবন্ধু মুজিব তারুণ্যের দীপ্তি ছড়িয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু মানে এক আপসহীন নেতার নেতৃত্ব একথা উল্লেখ করে নূরুল মজিদ মাহমুদ বলেন,‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনোই পিছু হটার মতো ব্যক্তি ছিলেন না। বীরদর্পে শুধু সামনের দিকেই ছুটেছেন। এনে দিয়েছেন একটি সার্বভৌম সোনার বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর বর্তমান অবস্থান তাঁকে কেউ উপহার দেয়নি, বরং তিনি তাঁর যোগ্যতায় বাঙালি জাতির পিতার আসনটি অর্জন করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু’র সব ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাংলা, বাঙালি এবং বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি।’
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে বিটাক-এর অবদানের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্পখাতে দক্ষ জনবল তৈরি ও টেকসই প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বিটাক এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। বিটাকের প্রশিক্ষিত জনবল অভ্যন্তরীণ শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে কাজ করে দেশের সুনামও অনেক বাড়িয়েছে ।
তিনি জানান, দেশের স্ফীত রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে বিটাকের প্রশিক্ষিত জনবলের অবদান উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া সূচনালগ্ন থেকেই বিটাক দেশের অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসংখ্য বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের সেপা ও সেইপ প্রকল্পের আওতায় হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরাসরি চাকরিতে নিয়োগ এবং নতুন এসএমই উদ্যোক্তা তৈরিতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু এক উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। তাঁর নেতৃত্বে প্রায় ২৪ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম নিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিটাকের গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
কামাল মজুমদার গবেষণালব্ধ জ্ঞান কৃষি যন্ত্রপাতিসহ নতুন-নতুন যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।