ঢাকা, নভেম্বর ২১, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:৪৫:২৩

জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন

| ২৪ চৈত্র ১৪৩০ | Sunday, April 7, 2024

ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের সাথে চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের নেতৃবৃন্দের সহায়তা চেয়েছেন।
কায়রোয় যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রাক্কালে মার্কিন এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলী কারাগারে ফিলিস্তিনী বন্দীদের মুুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ছেড়ে দেয়া নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছে।
কিন্তু, পবিত্র রমজানের আগে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে তারা ব্যর্থ হয়। এ প্রেক্ষিতে কায়রোতে নতুন করে আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউস থেকে শুক্রবার বলা হয়েছে, কায়রোতে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে আলোচনা হবে। তবে আলোচনায় ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কারমেলের সাথে সিআইয়ের পরিচালক বিল বার্ণস যোগ দেবেন কি-না তা নিশ্চিত নয়।
বাইডেন গতকাল শুক্রবার মিসরের প্রেসিডেন্ট ও কাতারের আমিরের কাছে লেখা চিঠিতে একটি চুক্তিতে সম্মত হতে এবং তা মেনে চলার অঙ্গীকার হামাসের কাছ থেকে আদায় করার আহ্বান জানান।
এরআগে বাইডেন বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে টেলিফোনে বলেছেন, হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্যে অবশ্যই সবকিছু করা হবে।
ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় ১ হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও তাদের হাতে ১৫০ জিম্মি আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনী বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।