ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:৪৮:০৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

‘সবচেয়ে শান্তির’ দেশ আইসল্যান্ড ‘অশান্তিতে’ সিরিয়া

| ১২ শ্রাবণ ১৪২২ | Monday, July 27, 2015

ছবি লোড হচ্ছে

গৃহযুদ্ধ ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থানে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরিয়া, আর ‘শান্তির দেশ’ আইসল্যান্ড।

সম্প্রতি বিভিন্ন নতুন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে তৈরি ‘বিশ্বশান্তি ও সহিংসতার’ সূচকে এ চিত্র উঠে এসেছে বলে দ্য ইনডিপেন্ডেন্টের খবর।

এই সূচকে ২০০৮ সালে বিশ্বের ১৬২টি দেশের মধ্যে ৮৮তম শান্তিপূর্ণ দেশ হয়েছিল সিরিয়া। কিন্তু কয়েক বছরের ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধ ও যুদ্ধকবলিত এলাকাগুলোতে আইএসের উত্থান মিলিয়ে তালিকার একেবারে তলায় চলে এসেছে সিরিয়া।

আলাদা আলাদা ২৩টি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে ইকোনমিকস এন্ড পিস ইনস্টিটিউট এ সূচক (গ্লোবাল পিস ইনডেক্স-জিপিআই) তৈরি করেছে। পরিসংখ্যানগুলোর মধ্যে খুনের হার, অপরাধ প্রবণতা, সন্ত্রাস ও সামরিক ব্যয়ের তথ্যও রয়েছে।

বছরভিত্তিক জিপিআই সূচকের এটি নবম সংস্করণ। এই সূচকে ক্ষুদ্র নর্ডিক দেশ আইসল্যান্ড সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার উচ্চমান, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোনো বিবাদে না জড়ানো ও নিম্ন সামরিক ব্যয় দেশটিকে এমন মর্যাদাশীল অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

জিপিআই স্কোরের ক্ষেত্রে যে দেশ যত কম স্কোর করেছে, সেই দেশ তত শান্তিপূর্ণ। বিপরীতে যে দেশের স্কোর সবচেয়ে বেশি, সেই দেশ সবচেয়ে বেশি সহিংসতাপূর্ণ।

এ বছরের সংস্করণে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সিরিয়ার স্কোর সবচেয়ে বেশি আর আইসল্যান্ডের স্কোর সবচেয়ে কম হয়েছে। আইসল্যান্ড বিশ্বের সেই বিরল দেশগুলোর একটি যার সদা প্রস্তুত কোনো সেনাবাহিনী নেই। কোস্টগার্ড ও দেশের জলভাগ ও আকাশপথ পাহারা দেয়ার জন্য কয়েকটি জাহাজ- এই হলো দেশটির সামরিক বাহিনী। এই দেশটিই আবার নেটো নিরাপত্তা জোটের সদস্য।

বার্ষিক জিডিপির মাত্র দশমিক ১৩ শতাংশ সামরিক বাহিনীর পেছনে ব্যয় করে দেশটি। অপরদিকে যুক্তরাজ্য ব্যয় করে বার্ষিক জিডিপির দুই দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র চার দশমিক ৩৫ শতাংশ।

তালিকায় যুক্তরাজ্য ৩৯তম অবস্থানে আছে। অপরাধপ্রবণতা, সন্ত্রাসী হামলার হুমকি ও সামরিক ব্যয়বহুলতার কারণে দেশটি তার ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের থেকে পিছিয়ে পড়েছে। খুন, অস্ত্র রপ্তানি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার নিম্নমাত্রা আইসল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে এক নম্বর বানিয়েছে।

আইসল্যান্ডের পরই দ্বিতীয় শান্তিপূর্ণ দেশ হয়েছে ডেনমার্ক আর তৃতীয় অস্ট্রিয়া। এর পর যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও চেক রিপাবলিক শীর্ষ দশের পরবর্তী দেশ।

প্রতিবেশীদের তুলনায় সুইডেন ও নরওয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে। এই দুটি দেশ তালিকার ১৩ ও ১৮তম অবস্থানে আছে।

প্রতিবেশীদের তুলনায় অপরাধ প্রবণতা কিছুটা বেশি ও অন্যতম বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হওয়ায় কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে দেশ দুটি। বিশ্বব্যাপী সুইডেনের শান্তিপূর্ণ ভাবমূর্তি থাকলেও দেশটি বিশ্বের ১২তম অস্ত্র রাপ্তানিকারক দেশ। এর বিপরীতে মধ্যপ্রাচ্যের ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ সবচেয়ে বেশি স্কোর করে তালিকার সবচেয়ে নিচের ১০টি অবস্থান দখল করেছে।

এখানে সিরিয়ার পর দ্বিতীয় বিপজ্জনক দেশ হয়েছে ইরাক আর তার পর আফগানিস্তান। এর পর যথাক্রমে আছে দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক, সোমালিয়া, সুদান, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, নাইজেরিয়া ইত্যাদি দেশ।

তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৮৪তম অবস্থানে আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত আছে ১৪৩তম অবস্থানে, মায়ানমার ১৩০তম, নেপাল ৬২তম, ভুটান ১৮তম ও শ্রীলঙ্কা ১১৪তম অবস্থানে।

বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ও আলোচিত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৯৪তম অবস্থানে, চীন ১২৪তম অবস্থানে, ফ্রান্স ৪৫তম, জার্মানি ১৬তম, ইতালি ৩৬তম ও ব্রাজিল ১০৩তম, সৌদি আরব ৯৫তম, ইরান ১৩৮তম, ইসরায়েল ১৪৮তম, মিসর ১৩৭তম ও লিবিয়া ১৪৯তম অবস্থানে রয়েছে।