ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:৩৩:২১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

‘যৌন জিহাদে’ রাজি না হওয়ায় আড়াইশ নারীকে হত্যা

| ৯ বৈশাখ ১৪২৩ | Friday, April 22, 2016

‘যৌন জিহাদে’ রাজি না হওয়ায় আড়াইশ নারীকে হত্যা নৃশংসতা এবং পৈশাচিকতার জন্য বিশ্বব্যাপী আলোচিত মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএসের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন ইরাক-সিরিয়ার শত শত নারী। আইএসের তথাকথিত ‘যৌন জিহাদ’ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় শুধু ইরাকেই জীবন দিতে হয়েছে আড়াই’শরও বেশি ইরাকি নারীকে।

ইরাকি শহর মসুল আইএসের কব্জায় চলে যাওয়ার পর শহরটির নারীদেরকে জোর করে জঙ্গিদের সঙ্গে সাময়িক বিয়েতে রাজি হতে বলা হয়। বিয়ের নামে নিষ্ঠুর জঙ্গিদের যৌনদাসী হতে অস্বীকার করায় এই নারীদের হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন কুর্দিশ ডেমোক্রেটিক পার্টির মুখপাত্র সাইদ মামুজিনি।

তিনি জানান,‘ মসুলে জঙ্গিদের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২’শ ৫০ জন ইরাকি নারীকে হত্যা করেছে আইএস। যেসব পরিবার আইএসের প্রস্তাব মেনে নিয়ে মেয়েদেরকে জঙ্গিদের হাতে তুলে দেয়নি তাদেরও করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে’।

আরেক কুর্দি নেতা ঘায়াস সুর্সি জানান, আইএসের দখল করা এলাকাগুলোতে মানবাধিকার বলে কিছু নেই। নারীদের পণ্য মনে করে আইএস জঙ্গিরা’।

২০১৪ সালের আগস্টে ইরাকের সিনজার প্রদেশে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের প্রায় ৫’শ নারীকে তুলে নিয়ে যায় আইএস জঙ্গিরা। অক্টোবরেও আইএসের লালসার শিকার হয় আরও ৫’শ নারী। তাদের মধ্যে অধিকাংশ নারীকেই যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করে আইএস জঙ্গিরা। অনেক নারীকেই পশুর মতো হাটে তুলে প্রকাশ্যে বিক্রিও করে দেয়া হয়।

ইরাকি সেনাদের হটিয়ে ২০১৪ সালে মসুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আইএস। তারপর থেকেই মসুলের সাধারণ জনগণের মনে আইএস এক মূর্তিমান আতঙ্ক।