ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:৫৯:১৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

‘ভর্তিতে বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া কেন অবৈধ নয়’

| ২৭ অগ্রহায়ন ১৪২৪ | Monday, December 11, 2017

 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ধর্ষণের পর সন্তান ধারণকারী এক মেয়েকে রাজশাহী সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যে মেয়েকে ভর্তির শর্ত হিসেবে স্বামী পরিত্যক্তা লিখতে হবে বলে বলেছিল ওই নার্সিং কলেজ।

আজ সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর, আইনুন নাহার সিদ্দিকা ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণসচিব, আইনসচিব, নারী ও শিশুসচিব, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ১৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মেয়েটি এখন কী করবে?’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন ফারিহা ফেরদৌস ও নাহিদ সুলতানা জেনি নামে দুই আইনজীবী।

ওই প্রতিবেদেন বলা হয়, ২০১৩ সালের ৬ জুন দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত ওই মেয়েটিকে ‘মহিলা সহায়তা কর্মসূচি’-র রাজশাহী বিভাগীয় আবাসনকেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেখানে থাকা অবস্থায় মেয়েটির এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালে ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটি একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেয়। আবাসনকেন্দ্রে থেকেই এইচএসসিও পাস করে ওই মেয়ে।

এদিকে গত ৩০ মে আদালতের রায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আদালতের রায়ে সন্তানের দায়ভার বাবাকে নিতে বলা হয়। সেই সঙ্গে বাবাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্তান হওয়ার কারণে বিবাহিত না হলেও তাঁকে ফেলা হয়েছে বিবাহিত নারীর কাতারে। তিনি নার্সিং কলেজের ফরমই পূরণ করতে পারবেন না। বিয়ে না করলেও তাঁর সন্তান রয়েছে। তাঁকে এখন বিবাহিত নারী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। অথবা ফরমে তাঁকে স্বামী পরিত্যক্তা লিখতে হবে। মেয়েটি কোনো দলেই পড়েন না।

রাজশাহী সরকারি নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মনিজ্জা খাতুন মেয়েটির অবস্থার কথা শুনে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার ফরম পূরণ করার সময় অবশ্যই অবিবাহিত লিখতে হবে। অথবা স্বামী পরিত্যক্তা লিখতে হবে। তা ছাড়া সন্তান হওয়ার বিষয়টি পরীক্ষায় ধরা পড়বে। এই ক্ষেত্রে মেয়েটিকে স্বামী পরিত্যক্তা লিখতে হবে।’

পরে এই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘দুই আইনজীবী রিট করার পর হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন। রুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া কেন অসাংবিধানিক এবং অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া মেয়েটিকে অবিলম্বে নার্সিং কলেজে ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। এ সময়ের মধ্যে ভর্তির বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে।

Share

Tweet

Share