নারায়ণগঞ্জ: দুই বছর পূর্বে পিতা তমিজ মিয়ার অকাল মৃত্যুতে দরিদ্রতার কারণে লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যায় ফতুল্লার চাঁনমারী বস্তিতে বসবসরত মো: সোহানের(৯)।
মা সানু বেগম গার্মেন্টে কাজ করে সোহান ও তার বোন সহ ৩ সদস্যের সংসারটিকে পরিচালনা করায় ছেলে মেয়ের লেখা পড়া করাতে হিমশিম খাচ্ছিলো। তাই সোহানের লেখা পড়া বন্ধ ছিলো বেশ কয়েক বছর। কিন্তু সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফতুল্লার চাঁনমারী বস্তিতে গড়ে উঠা স্বপ্নডানা প্রাক-প্রাথমিক অবৈতনিক বিদ্যালয়ে এই বছর ভতির্ হয় সোহান।
সোহান জানতনা পার্ক আসলে কি? জেলা প্রশাসনের ও লেডিস ক্লাবের আয়োজনে শিশু সদন ও বস্তির সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদ ও পূজা উত্তর পুনর্মিলনী উৎসব উপলক্ষ্যে পঞ্চবটি এ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্কেটিতে এসে রোববার সকাল ১১ টায় সোহানের প্রথম পার্ক সম্পর্কে জানার ও দেখার সুযোগ হয়। তাই সুবিধা বঞ্চিত এই শিশুটির কোন আনন্দের কমতি ছিলো না পার্কে।
সোহান তার এই আনন্দঘণ মুহুর্তে লাইভ নারায়ণগঞ্জ’র এ প্রতিবেদকের কাছে তার মনের কথা ব্যাক্ত করে বলেন, জীবনের প্রথম আমি পার্কে আইছি, তাই খুব ভাল লাকতাছে।
শুধু সোহানই নয় চাঁনমারী, ইসদাইল এলাকার স্বপ্নডানা ও মুসলিম নগর শিশু সদন থেকে আরো ১৬৬ জন পথ শিশুকে বিনোদনের ব্যবস্থা করেছেন জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গাউছুল আজম বলেন, সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক বিক্রয় থেকে রক্ষা করে সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে স্বপ্নডানা স্কুল প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও লেডিস ক্লাবের আয়োজনে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষ শিশুদের বিনা মূল্যে প্রবেশ ও রাইডে চরার অনুমতি দিয়েছে তাই তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। সকল ধনী ব্যাক্তিদের সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।