ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২২:২২:১৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

‘কখনও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হতে পারিন শেখ হাসিনাি’

| ২২ পৌষ ১৪২৩ | Thursday, January 5, 2017

শেখ হাসিনা

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে কখনও স্থান না পাওয়ার আক্ষেপ জানালেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রেক্ষাপটে গণভবনে দলের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ছাত্রলীগ করলেও সব সময় পদবঞ্চিত ছিলাম। কখনও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও হতে পারিনি।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান সকলের জন্য একটি বিশেষ দিন। আমি ছাত্রলীগের একজন সাধারণ সদস্য ছিলাম। ছাত্রলীগের একটি শাখা সংগঠনের সভাপতিও ছিলাম। ছাত্রলীগের হয়ে একটি কলেজে ভিপি নির্বাচন করে জয়লাভ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা প্রস্তাবের পর ওই নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আমি জিতলে ৬ দফার জয় হবে, এর প্রতি জনগনের সমর্থন আসবে, এই ভয়ে আইয়ুব-মোনায়েম আমার বিরোধিতা করেছিল।

ছাত্রলীগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনও কর্মসূচি দিলে ছাত্রলীগ সেটাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতো। দেশের প্রতিটি সংগ্রামে ছাত্রলীগ কাজ করেছে। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে ছাত্রলীগের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। এজন্য আমি ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান সকল নেতাকর্মীকে অভিনন্দন জানাই।

এসময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এলাকার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকাণ্ডের নিন্দাও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এমপি লিটনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ জামায়াতের এলাকা। সেখানে একসময় জামায়াতের এমপি ছিলো। তাই সেখানে আওয়ামী লীগ করা খুব কঠিন। সুন্দরগঞ্জে অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তাণ্ডব চলেছে। পুরো এলাকা তাদের (জামায়াতের) কব্জায় ছিলো। সুন্দরগঞ্জে লিটনই একমাত্র নেতা, যে জামায়াতের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। ১৯৯৯ সালে সেখানে জামায়াতের নেতাকে সে (লিটন) সমাবেশ করতে দেয়নি। এসব কারণে তার ওপর জামায়াতের ক্ষোভ ছিলো।  অবশেষে তারা এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালো। যারাই জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, তাদের ওপরই তারা ক্ষোভ ঝেড়েছে। দুর্ভাগ্য,  তাদের ক্ষোভের কারণে আমরা একজন এমপি হারালাম।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, লিটনের ওপর বারবার হামলা হয়েছে। একটি শিশুকে নিয়ে তাকে ঘিরে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। অথচ প্রকৃত ঘটনা কেউ তুলে আনেনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তার অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। অস্ত্র জব্দের পর সে আতঙ্কে থাকতো। আর সেটাই কাল হলো।

এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কারো চরিত্র হনন করতে চান করেন। কিন্তু একজন মানুষের জীবন নষ্ট হয় এমন কিছু করবেন না।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দূর করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যতই হত্যাকাণ্ড আর সন্ত্রাস চালানো হোক, দেশকে কেউ পেছনে টানতে পারবে না, উন্নয়ন কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।