পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ শুক্রবার রাতে ঢাকায় আসছেন। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে তিনি ঢাকার উদ্দেশে কলকাতা ছাড়বেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র এবং স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সফরসঙ্গী হবেন। মমতার সঙ্গে একই বিমানে থাকবেন কলকাতার সাতজন সাংবাদিক। তবে এই সফরে মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যকে সঙ্গে নিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বেশ কিছু উপহার নিয়ে আসছেন মমতা। এর মধ্যে থাকবে তাঁর আঁকা ছবি, লেখা বই এবং শাড়ি ও কলকাতার একটি বিশেষ মিষ্টির দোকানের তৈরি লাড্ডু।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় পৌঁছাবেন শনিবার। দিল্লি ফিরবেন রবিবার সন্ধ্যায়। তাঁর ১২ ঘণ্টা আগেই ঢাকা আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, ফিরবেনও ১২ ঘণ্টা আগেই।
মমতার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সীমান্ত চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানেই এক ফ্রেমে মোদির সঙ্গে মমতাকে পাওয়া যাবে। তবে আর কোনো অনুষ্ঠানেই একসঙ্গে থাকছেন না দুজন।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে আসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিস্তা চুক্তি ইস্যুতে ঢাকা সফর বাতিল করেন মমতা। ওই ঘটনায় মনমোহন সিং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশেও মমতার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকা সফরে আসায় কিছুটা হলেও হারানো ইমেজ ফিরে পেয়েছেন মমতা। বিশেষ করে ছিটমহল চুক্তিতে তাঁর সায় দেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ খুশি। যদিও মোদির সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে, এমনটা আশা করেছিল বাংলাদেশের মানুষ। কিন্তু তিস্তা নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না, এ শর্তে মমতাকে ঢাকা সফরে রাজি করানো হয়েছে- ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে এমন খবরে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মনোক্ষুণ্ন হয়েছে বাংলাদেশিরা।