ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:৪৮:২৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

সুচি’র প্রতি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানানোর আহ্বান মার্কিন কমিশনের

| ২৯ ভাদ্র ১৪২৪ | Wednesday, September 13, 2017

ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেসামরিক মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানানোর জন্য দেশটির নেত্রী অং সান সুচি’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ইউএসসিআইআরএফ-এর চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল মার্ক সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বার্মা’র রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হওয়া নির্যাতনের দ্ব্যর্থহীন নিন্দা জানানোর জন্য দেশটির প্রকৃত নেতা অং সান সুচি’র প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের একটি স্বাধীন নির্দলীয় কমিশন ইউএসসিআইআরএফ বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা লংঘনের ঘটনা ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কংগ্রেসের কাছে নীতি সুপারিশ পেশ করে।
কমিশন রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীগুলো যেন অবিলম্বে পর্যাপ্ত খাদ্য ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য সামগ্রী এবং সদর আচরণ পায় তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও মানবিক সহায়তাকারী বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মতো আঞ্চলিক সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সহযোগিতা করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে ইউএসসিআইআরএফ-এর চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন যে রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতায় শত শত বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। আগামী দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুধু বিগত এক বছরেই উৎপীড়ন ও সহিংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। সর্বশেষ সংকটের আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ লাখ।’
তিনি উল্লেখ করেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে, বেসামরিক লোকদের জবাই করে হত্যা করছে, এমনকি তারা পলায়নরত রোহিঙ্গাদের পালাবার পথে স্থলমাইন পেতে রেখেছে। এই সব কারণে গোটা এলাকাতে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
ইউএসসিআইআরএফ-এর চেয়ারম্যান মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং রাখাইন রাজ্যে বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ২৫ আগস্ট থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠির ওপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা প্রাণ রক্ষার্থে পলায়নরত শান্তিকামী মানুষের ওপর বেআইনীভাবে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্ক বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে সার্বিকভাবে নিরীহ ও নিরপরাধ রোহিঙ্গা এবং মুসলিম, বৌদ্ধ, হিন্দু ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির মানুষ এই সহিংসতার শিকার হয়েছেন।’
তিনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আরাকান রোহিঙ্গা সালভ্যাশন আর্মি’র হামলারও নিন্দা জানান।