ঢাকা, মে ৭, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:৩২:০৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৬৫%

| ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ | Wednesday, June 8, 2016

 

 

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৬৫%

ঢাকা, ০৭ জুন- সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৬৫ ভাগ। আর মালয়েশিয়ায় চীনের পর সবচেয়ে বেশি বাড়ি বানিয়েছে বাংলাদেশিরা। ভারতের রেমিটেন্সের পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এমন তথ্যই দিয়েছে ইকুইটিবিডি।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘কর বৃদ্ধি নয়, বরং অর্থ পাচার বন্ধ হোক সর্বোচ্চ অগ্রধিকার। ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইকুইটিবিডি’র চিপ মডারেটর রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতি ও পাচারের টাকায় বছরে দুইটি পদ্মা ব্রিজ তৈরি করতে পারি আমরা। দেশের ব্যাংকে সঞ্চয় বাড়ছে না। অথচ বিদেশের বাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমান বেড়েই চলেছে।’

প্রেক্ষাপট বিবেচনায় লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির গবেষক আহসানুল করিম বাবর ইকুইটিবিডি’র পক্ষে ১১ দফা প্রস্তাব রেখে বলেন, ‘মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যেসব বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়েছে তাদের সব অর্থনৈতিক তথ্যের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যাংক লেনদেনের স্বচ্ছতার ওপর আন্তঃদেশীয় চুক্তি করতে হবে। বেনামি সম্পদ কেনার ক্ষেত্রে ভারতের পথ অনুসরণে আইন করতে হবে।’

গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) ২০১৫ সালের রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ গবেষক বলেন, ‘২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত এ দশ বছরে বিল কারচুপি, ঘুষ, দুর্নীতি, আয়কর গোপন ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার এ দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে।’

অপ্রদর্শিত অর্থনৈতিক কাজকর্মকে বাংলাদেশের রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনার অন্যতম দুর্বল ভিত্তি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ পরিচালিত পৃথক গবেষণায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনানুষ্ঠানিক অর্থের পরিমাণ মোট জিডিপির ৪৮ শতাংশ থেকে ৮৪ শতাংশে উল্লেখ করা হয়েছে।’

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আহসানুল করিম বাবর বলেন, ‘অপচুক্তিতে বছরে ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ২০১৩ সালে ৭০০ কোটি টাকা কর কম দিয়েছে। ১৮টি দ্বিপক্ষীয় অপচুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের ১৫টি দেশের প্রতিষ্ঠান এদেশ থেকে এই টাকা নিয়ে গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোই সবচেয়ে বেশী ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো ১ কোটি ১৫ লাখ ডলার কর কম দিয়েছে। কোরিয়ার কোম্পানিগুলো ১ কোটি ৩ লাখ ডলার কর কম দিয়েছে। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি অপচুক্তি আছে এবং বেশি কর দেয়া হচ্ছে।’

বহুজাতিক কোম্পানিগুলো প্রকৃত কর দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের শীর্ষ চার সেলফোন অপারেটর সিম রিপ্লেসমেন্টের নামে নতুন সিম বেচে ৩১০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড তাদের দু’টি ব্র্যান্ডের সিগারেটের মূল্যস্তরে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে ১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাজেটে সুদ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। নতুন বাজেটে শতকরা প্রায় ১২ শতাংশ সুদ পরিশোধে খরচ ধরা হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি। নতুন বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ ৩৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য জায়েদ ইকবাল খান বক্তব্য দেন।