রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেছেন,’বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদনপত্র দ্রুত বাংলাদেশকে পাঠানো হবে। সীমান্ত চুক্তি বিল অনুমোদিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীতে যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে তা এই দুই দেশের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।’ সোমবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক সম্মাননা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। রাবির সিনেট ভবনে পঙ্কজ শরণকে সম্মাননা দেওয়ার জন্য আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হকের সঞ্চলনায় সম্মাননা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন,’বাংলাদেশ ও ভারত পাশাপাশি অবস্থিত দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ অভিন্ন ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী। এই গৌরবময় উত্তরাধিকারকে ধরে রাখতে দুটি দেশের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।’ শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভারত সদা সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে পঙ্কজ শরণ বলেন, ‘আগামীতেও উন্নয়নে সহযোগীতার এ ধারা অক্ষুণ্ণ রাখতে ভারত সদা সচেষ্ট।’ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন অধ্যায়ে উপনীত হয়েছে উল্লেখ করে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, ‘দুই দেশের এ সম্পর্ক শুধু সরকারের ওপর নির্ভরশীল নয়। এ সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক। এ সম্পর্ক উন্নয়নে শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে।’ মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সুন্দর এই বিশ্ববিদ্যালয় জাতি গঠনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।’ অনুষ্ঠানে পঙ্কজ শরণকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেন উপাচার্য অধ্যাপক মুহ্ম্মদ মিজানউদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগে শিক্ষা উপকরণ প্রদানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমে ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাংলাদেশ-ভারতের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ। এর আগে সকাল ১০টায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রশালা পরিদর্শন করেন। দুপুরে তিনি ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতায় রাবির নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগ পরিচালিত সাংস্কৃতিক প্রকল্পের অধীনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এসময় তার সঙ্গে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার সন্দ্বীপ মিত্র এবং ঢাকাস্থ হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি সুমিত চতুর্বেদি উপস্থিত ছিলেন।