ঢাকা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:৩৪:৪৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

শেখ হাসিনা সত্যিই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন: সুষমা

| ৫ আষাঢ় ১৪২৩ | Sunday, June 19, 2016

শেখ হাসিনা সত্যিই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন: সুষমা  জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ সরকার কঠোরতম পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর বিভিন্ন আক্রমণের ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সত্যিই খুব কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

রোববার দিল্লিতে বাৎসরিক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর বিভিন্ন আক্রমণের ঘটনা বাংলাদেশের সরকার যেভাবে মোকাবিলা করতে চাইছে তাতে ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

তবে পাশাপাশি সুষমা স্বরাজ এটাও উল্লেখ করেছেন প্রতিবেশী দেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতের দরজা সব সময়ই খোলা থাকবে।

সাংবাদ সম্মেলনের অনেকটা জুড়েই ছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এবং সেখানে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন সেদেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রতিক নানা হামলার ঘটনায় ভারত সরকার বিচলিত।

তবে বিবিসি বাংলার এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও বলেছেন যে, এই হামলাগুলোকে তিনি ঠিক বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে রাজি নন।

তিনি বলেন, এই হামলাগুলো যেমন দুর্ভাগ্যজনক, তেমনি ভারতের জন্য পীড়াদায়কও বটে।

সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘দুই দেশের সর্বোচ্চ স্তরে এ বিষয়ে নিয়মিত আমাদের কথাবার্তা হচ্ছে। তবে একটা কথা আমাকে অবশ্যই বলতে হবে, বাংলাদেশ সরকার এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কোনও চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না। তিন হাজারেরও বেশি লোককে এর মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সত্যিই খুব কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মীয় নেতারা রীতিমতো ফতোয়া দিয়ে এই ধরনের হামলাকে ইসলামবিরোধী বলে বর্ণনা করেছেন এবং লক্ষাধিক ধর্মীয় নেতা তাতে সইও করেছেন।

ফলে ভারত মনে করছে প্রকাশ্যে যখন এত হাজার হাজার ধর্মীয় নেতা হিন্দুদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে সরব হতে পারেন, তখন বাংলাদেশের সরকার ও দেশের মানুষ অবশ্যই এই সব হামলার বিরুদ্ধে।

কিন্তু অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি এটাও জানাতে ভোলেননি, বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভারতে এলে ভারত সরকার তাদের আশ্রয় দিতে দায়বদ্ধ।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের কথা যখন বলছি, তার মধ্যে কিন্তু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এরা সবাই পড়েন। নির্যাতিত সংখ্যালঘু বলতে আমরা শুধু হিন্দুদের কথাই বলছি না।’

‘ফলে ভারত যখন শরণার্থীদের জন্য নীতিমালা প্রস্তুত করছে, তখন কিন্তু সেটা আমাদের আশেপাশের প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের কথা মাথায় রেখেই বানানো হচ্ছে’ বলেন তিনি।

প্রকারান্তরে এর মাধ্যমে সুষমা স্বরাজ এটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে হিন্দু বা বৌদ্ধরা অত্যাচারিত হয়ে ভারতে এলে স্বাগত, কিন্তু মুসলিমরা নন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।