ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জোকো উইদোদো। তিনি জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন।
রাজনৈতিক ও সামরিক এলিট শ্রেণীর বাইরের লোক হিসেবে এই প্রথম জার্কাতার সাবেক গভর্ণর উইদোদো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।
রাজধানী জাকার্তার পার্লামেন্টে সোমবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৫৩ বছর বয়সী উইদোদো শপথ নেন। তিনি জকোবি নামেই বেশি জনপ্রিয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শপথ গ্রহণের পর দেশবাসীর উদ্দেশে উইদোদো বলেন, আমাদেরকে মহান জাতি হতে হলে হাতে হাত মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিভক্ত হয়ে থাকলে আমরা কখনই মহান জাতি হতে পারবো না।
তিনি বলেন, এক যোগে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি আমাদের কাছে এক ঐতিহাসিক মূহূর্ত।
এদিকে প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য ইভেন্ট উপলক্ষে রাজধানীতে ২৪ হাজার পুলিশ ও সামরিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা কাঠ মিস্ত্রির ছেলে জোকোবি তার নির্বাচনী অঙ্গীকারে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ওপর জোর দেন। এছাড়া তিনি বেশ কিছু সংস্কার কর্মসূচিরও কথাও উল্লেখ করেন। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, চরম বৈরিতাপূর্ণ পার্লামেন্ট নিয়ে এসব সংস্কার কাজ এগিয়ে নেয়া তার পক্ষে খুব একটা সহজ হবে না।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রাবোবো সুবিয়ান্তো গত সপ্তাহে নতুন নেতাকে শর্তসাপেক্ষে সমর্থনের আশ্বাস দেন। বিশ্লেষকরা একে ইতিবাচক আভাস হিসেবে বিবেচনা করছেন।
তবে নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ ইন্দোনেশিয়ার ২০ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি ভুতর্কী বিল। তিনি জ্বালানি বিল কমিয়ে আনার কথা বলেছেন। কিন্তু এতে তিনি তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।