লস এঞ্জেলেস : রাশিয়ায় ১২ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ ও তাকে হত্যার হুমকির দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিককে ১৫০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতের বিচারক ওটিস রাইট সোমবার রায় ঘোষণাকালে দন্ডিত ইউসেফ আবরামভকে (৫৮) ‘চূড়ান্ত শিকারি’ বলে উল্লেখ করেন।
চার্জ শিটের তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দ্বৈত নাগরিক আবরামভ কয়েক দফা রাশিয়া সফরকালে স্কুল ছাত্রীদের ধর্ষণ করেন।
তিনি ২০০৯ সালের জুনে ১২ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ করেন। এরপর হুমকি দেন, যদি সে এ কথা কারো কাছে বলে তাহলে তার মাথা কেটে ফেলবেন এবং তার মাথা দিয়ে সসার খেলবেন।
এর কয়েক মাস পর তিনি আবার রাশিয়া যান এবং কয়েক বালিকাকে শ্লীতাহানি করেন। এরপর মার্চ মাসে তিনি ও তার দুই সহযোগী কয়েক বালিকাকে গণর্ধষণ করেন। ওই বালিকারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মামলার শুনানিকালে স্বাক্ষ্য প্রদানের জন্য আরবরামভের ধর্ষণের শিকার এক বালিকাকে আদালতে হাজির করা হয়।
বিচারক রাইট রায় ঘোষণার সময় বলেন, ওই বালিকা আদালতের দরজা দিয়ে ঢুকে বিবাদীর দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে ওঠে। এরপর সে মেঝেতে পড়ে যায় এবং আহত প্রাণীর মত হামাগুড়ি দিয়ে আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ ধরণের সন্ত্রাসের কোন পর্যায় থাকতে পারে না।
বিচারক যখন রায় পড়ছিলেন তখন আবরামভ মুচকি হাসছিলেন এবং মাথা নাড়াচ্ছিলেন।
প্রসিকিউটররা তার ৪৫ বছর কারাদন্ড চেয়েছিলেন। তবে রাইট বলেন, তিনি তাকে ১৫০ বছরের কারাদন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে ধর্ষণের শিকাররা পুনরায় আশ্বস্ত হয় যে আবরামভের মুক্তি পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ তদন্তের পর ২০১৪ সালের এপ্রিলে আবরামভকে গ্রেফতার করা হয়।