ঢাকা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:১২:১০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের তালিকার প্রস্তাব ট্রাম্পের

| ৮ আষাঢ় ১৪২৩ | Wednesday, June 22, 2016

মুসলমানদের নিয়ে আবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের তালিকা প্রস্তুত করে ডাটাবেজ সংরক্ষণ ও তাদের পরিচয়ের ‘প্রোফাইলিং’ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।রোববার মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিবিএসে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, সন্ত্রাস দমনে জাতি বা বর্ণভিত্তিক ‘প্রোফাইলিং’ করা প্রয়োজন। প্রোফাইলিং হল কোনো ব্যক্তির জাতীয়তা, বর্ণ, ধর্মীয় বিষয়ে তথ্য নিয়ে অপরাধে জড়ানোর আশংকা আছে কিনা খতিয়ে দেখা। রয়টার্স জানায়, সিবিএস টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মুসলমানদের ওপর আরও তথ্য ও নজরদারি করা প্রয়োজন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রোফাইলিং করা উচিত বলেন। তার এমন প্রস্তাবে রিপাবলিকান দলের মধ্যেই বিতর্ক হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রোফাইলিং প্রস্তাব এরই মধ্যে তীব্র সমালোচিত হয়েছে। বিরোধী ডেমোক্রেটদের পাশাপাশি রিপাবলিকান দলের নেতারাও ট্রাম্পের প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের লরেটা লিঞ্চ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এমন ব্যবস্থা নেয়া হলে মুসলমান সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। কিন্তু এ যোগাযোগ রক্ষা জরুরি। কারণ কেউ সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ হলে সবার আগে বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবারে সদস্য ও বন্ধুরা। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরলান্ডো শহরে সমকামীদের নৈশক্লাবে হামলায় ৪৯ জন নিহতের পর ডোনান্ড ট্রাম্প সন্ত্রাস দমন বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। ওই ঘটনার জন্য ওমর মতিন নামের আফগান বংশোদ্ভূত এক মার্কিন মুসলমানকে দায়ী করা হয়। নিউইয়র্কে জন্ম নেয়া এবং ফ্লোরিডায় বসবাসকারী ওমর মতিন জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ঘোষণা করে। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, নিজে নিজেই সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন ওমর মতিন। অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাওয়ার প্রচারণা শুরুর পর থেকে মুসলমানদের সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগের বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী মুসলমানদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।