ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২০:১৫:১২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

যুক্তরাজ্যকে ধরে রাখতে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেয়ার সিদ্ধান্ত ইইউ’র

| ৮ ফাল্গুন ১৪২২ | Saturday, February 20, 2016

লন্ডন: ইউরোপীয় ইউনিয়নে ধরে রাখতে ব্রিটেনকে ইউনিয়নের ভেতর ‘বিশেষ মর্যাদা’ দিতে সম্মত হয়েছে ইইউ।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক জানিয়েছেন ব্রাসেলসে দীর্ঘ বৈঠকের পর এ সংক্রান্ত কয়েকটি সংস্কারের ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে এবং এতে ইউনিয়নভুক্ত সব দেশের সম্মতি মিলেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি যুক্তরাজ্যকে ইইউ-য়ে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
এ কারণে এ ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যকে ধরে রাখতে তিনি ‘প্রাণপণ’ চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
ইইউ-র সদরদপ্তর ব্রাসেলসে এক শীর্ষ বৈঠকে দুই দিনব্যাপী আলোচনার পর শুক্রবার রাতে সমঝোতা চুক্তিটি হয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলছেন, নতুন সমঝোতার ফলে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে ‘বিশেষ মর্যাদা’ পাবে। লন্ডন শহরের কল্যাণে ইউনিয়নের নিয়মনীতির বাইরে গিয়েও যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
নতুন সমঝোতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি ধারা সংশোধন করতে হবে। ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান আরো কমিয়ে আনা বা অবাধ চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
২৮ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাজ্য থাকবে কিনা, তা আসছে জুনে এক গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাজ্যকে জোটে ধরে রাখতে ইইউ-র নেতারা বিভিন্ন প্রস্তাব সম্বলিত একটি প্যাকেজের বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে রাজি হন।
যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে জোটটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চুক্তির প্রস্তাবে কল্যাণ তহবিলে চাঁদা দেয়া থেকে যুক্তরাজ্যকে সাত বছরের ‘জরুরি ছাড়’ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যামেরন।
নতুন সমঝোতা অনুযায়ী, কোনো দেশে ইইউ থেকে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা অত্যাধিক বেশি হয়ে গেলে দেশটি নতুন অভিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রথম সাত বছরের জন্যে কল্যাণ ভাতা দেয়া বন্ধ করে দিতে পারবে।
অভিবাসী পরিবারগুলোর শিশুদের কল্যাণ ভাতা আপাতত বহাল থাকলেও ২০২০ সালের পর এটি কাটছাঁট হবে। তখন সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনুযায়ী এই ভাতা দেয়া হবে।
আলোচনায় তার প্রধান শর্তগুলোর প্রায় সবই মেনে নেয়া হয়েছে জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, শনিবার মন্ত্রিসভায় চুক্তিটি পাশ করার জন্য পেশ করবেন তিনি।
ইইউতে যুক্তরাজ্যের থাকা, না-থাকার পক্ষ-বিপক্ষে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলছে। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি এই প্রচারণায় জোটে থাকার পক্ষে নতুন আশা সঞ্চার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রচারণাকারীরা চুক্তিটিকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ অভিহিত করে এতে ভোটের ফলাফলে ‘তেমন একটা প্রভাব পড়বে না’ বলে দাবি করেছেন।
চুক্তিতে ইইউ-তে যুক্তরাজ্যের সদস্যপদের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক।
এই চুক্তির ফলে যুক্তরাজ্যের জন্য ইইউ-র সদস্যপদে থাকা, না-থাকা নিয়ে গণভোটের আয়োজনের পথ খুলে গেল। ২০১৭ সালের শেষ দিকে গণভোটটি আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশটি, কিন্তু চলতি বছরের জুনেই গণভোটটির আয়োজন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, প্রথমে ‘ইংলিশ ব্রেকফাস্টের’ টেবিলেই এই আলোচনার ইতি টানার কথা ছিল। কিন্তু পরে সেটি ‘ইংলিশ ব্রাঞ্চ’, আরো পরে ‘ইংলিশ লাঞ্চ’ এবং শেষে ‘ইংলিশ ডিনারে’ গিয়ে শেষ হয়।
ক্যামেরন এই সমঝোতা যুক্তরাজ্যের ইউনিয়নে থাকার জন্যে যথেষ্ট বলেই মনে করেন।
তবে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কি থাকবে না, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে গণভোটে।
ক্যামেরন শনিবার এই প্রস্তাবটি ক্যাবিনেটে তুলতে যাচ্ছেন। পরে তিনি এ প্রশ্নে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করবেন।