ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৮:০৫:১৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

মেনুতে গোমাংস রাখার অভিযোগে পুলিশী হানা

| ১২ কার্তিক ১৪২২ | Tuesday, October 27, 2015

beef

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কেরালা রাজ্য সরকারের অতিথিশালার মেনুতে গরুর মাংস রাখার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দিলে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

একটি হিন্দু সংগঠন পুলিশের কাছে এই অভিযোগ করে।

তবে অতিথিশালার কর্মচারীরা পুলিশের কাছে জানায় তাদের মেনুতে গোমাংস নয়, মহিষের মাংস রয়েছে।

রাজ্য অতিথিশালায় এ ধরণের পুলিশী হানার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন স্বয়ং কেরালার মুখ্যমন্ত্রী। ক্রুদ্ধ ওমেন চান্দি বলেন, “গো-মাংসের খোঁজে সরাসরি রেস্তোরায় তল্লাশির আগে দিল্লি পুলিশের উচিৎ ছিল কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলা।”

গোমাংসের খোঁজে কেরালা হাউজে পুলিশী হানার তীব্র নিন্দা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

ভারতের অল্প যে কটি রাজ্যে এখনো গরু জবাই নিষিদ্ধ হয়নি, কেরালা সেগুলোর একটি।

তবে দিল্লিতে সোমবার রাতের এই ঘটনার পর কেরালা রাজ্য অতিথিশালার মেনু থেকে বিফের সমস্ত আইটেম প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অতিথিশালার কর্মচারীরা পুলিশের নিরাপত্তা চেয়েছেন।

চাপে পড়ে দিল্লির পুলিশ অবশ্য এখন দাবি করছে, তারা গো-মাংসের খোঁজে কেরালার অতিথিশালায় যায়নি। বরঞ্চ অভিযোগের সূত্র ধরে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হতে পারে সেই চেষ্টাই তারা করছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দু সেনা নামে একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত যে ব্যক্তি টেলিফোনে অভিযোগ করেছিলেন, তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই হিন্দুত্ববাদি বিভিন্ন সংগঠন গরুর মাংস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার জন্য তীব্র আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের এই আন্দোলন বিভিন্ন সময় মুসলমানদের প্রতি সহিংসতার গড়াচ্ছে।

সম্প্রতি উত্তরর প্রদেশে রাজ্যের একটি গ্রামে বাড়িতে গরুর মাংস রাখার গুজবে ৫০ বছরের একজন মুসলিমকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।

সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক

দিল্লিতে কেরালার অতিথিশালায় পুলিশী হানার ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি ইন্টারনেটে সামাজিক গণমাধ্যমেও বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ইংরিজি দৈনিক দি টেলিগ্রাফের একটি সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “কেরালার বিখ্যাত বিফ কারির কাঁটা সংঘ পরিবারের গলায় গিয়ে আটকেছে।”

টুইটারে কেরালা হাউস হ্যাশট্যাগে ব্যাপক লেখালেখি হচ্ছে।

রঘুরাম নামে একজন টুইটারে মন্তব্য করেছেন, “দিল্লিতে এখন একজন মেয়ে হয়ে বসবাস করার চাইতে গরু হয়ে থাকা উত্তম।