ঢাকা, মে ৯, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৫:৫২:৩৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

মুসলমানদের জন্যে দাবা খেলা হারাম, সৌদি গ্রান্ড মুফতির ফতোয়া

| ৯ মাঘ ১৪২২ | Friday, January 22, 2016

 

দাবা খেলাকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা শেইখ আবদুল আজিজ বিন-আব্দুল্লাহ আল-শেইখ।

তার দাবি দাবা খেলা ‘শত্রুতা ও ঘৃণার’ জন্ম দেয় তাই মুসলমানদের জন্য এই খেলা হারাম।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রান্ড মুফতি শেইখ আবদুল আজিজ বিন-আব্দুল্লাহ আল-শেইখ সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তরে এই ফতোয়া দেন।

“দাবা খেলা সময়ের অপচয় এবং এটা টাকা অপব্যয়ের একটি পন্থা। এটা মানুষের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণার জন্ম দেয়,” বলেন মুফতি আব্দুল্লাহ।

তিনি ইসলামপূর্ব আরবের খেলা ‘মাইসির’-এর সঙ্গে দাবার তুলনা করেছেন বলে বলা হচ্ছে।

তার ফতোয়ায় সৌদি আরবে দাবা খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও দেশটিতে এ নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে বলে ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে।

সৌদি চেস অ্যাসোসিয়েশনের ল কমিটির সভাপতি মুসা বিন থাইলি বলেন, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার মক্কায় দাবা টুর্নামেন্ট শুরু হবে।

“দাবাকে জনপ্রিয় করে তুলতে সৌদি চেস অ্যাসোসিয়শন অনেক কাজ করেছে এবং যদি শক্তি প্রয়োগ করা না হয় তাহলে সব জায়গায় দাবা খেলার আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে।”

তবে ওই সব খেলা বাতিল বা তাতে বাধ সাধতে কর্তৃপক্ষ এই ফতোয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে ইরাকের সর্বোচ্চ শিয়া নেতা গ্রান্ড আয়াতোল্লাহ আলী আল-সিস্তানি ‘সব ধরনের’ দাবা খেলা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া দিয়েছিলেন। তা বাস্তবে বোর্ড ও ঘুটিতে বা কম্পিউটারে যেখানেই খেলা হোক না কেন এবং খেলা নিয়ে কোনো বাজি না থাকলেও।

বিশ্বজুড়ে অন্যতম জনপ্রিয় খেলা দাবা বুদ্ধির খেলা হিসেবে পরিচিত। গত শতাব্দীতে দাবা খেলায় কম্পিউটারের ব্যবহার একে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।

ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাচীন ভারতে প্রথম দাবা খেলা চালু হয়। সে সময় এই খেলার নাম ছিল চতুরঙ্গ (‘চতু’ মানে ‘চার’ এবং ‘অঙ্গ’ মানে ‘অংশ’)। তখন দাবায় হাতি, ঘোড়া, রথ ও পদাতিক সৈন্য- এই চারটির ব্যবহার থেকে এই বলে ধারণা করা হয়।

পারস্য বণিকদের হাত ধরে এই খেলা এক সময় ইরানে যায়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে দাবা খেলা  বিভিন্ন মুসলিম দেশে ছড়িয়ে পড়ে।