ঢাকা: পাকিস্তানে ফাঁসি হওয়া অপরাধী মুমতাজ কাদরির পক্ষে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরকে হত্যার দায়ে মুমতাজ কাদরি মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়। মুমতাজ কাদরির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পাকিস্তানের মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।
মঙ্গলবার মুমতাজ কাদরিকে রাওয়ালপিন্ডিতে দাফন করা হবে। মুমতাজ কাদরির জানাযায় হাজারো মানুষ শরিক হতে পারে। মুমতাজ কাদরি ছিলেন পাঞ্জাব গভর্নর সালমান তাসিরের দেহরক্ষী। সালমান তাসির পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনের সমালোচক ছিলেন। এ কারলে মুমতাজ কাদরি ২০১১ সালে সালমান তাসিরকে এক জনাকীর্ণ বাজারে হত্যা করেন। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন মুমতাজ কাদরি। ২০১২ সালে মুমতাজ কাদরির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়।
সোমবার পাকিস্তানের করাচী, লাহোর, ইসলামাবাদে মুমতাজ কাদরির সমর্থনে শান্তিপূর্ণ র্যা লি বের হয়। মুমতাজ কাদরির পক্ষে সমর্থন জানানো কিছু বিক্ষোভকারী রাস্তায় গাড়ির চাকা জ্বালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সরকার বিরোধী স্লোগান দেন।
মুমতাজ কাদরির দাফন ঘিরে দেশব্যাপী নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। যা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বহাল থাকবে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে ব্লাসফেমি একটি কালো আইন। অমুসলিমরা এই আইনের শিকার বেশি হয়। পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু খ্রিস্টান ও হিন্দুদের টার্গেট করে এই আইন প্রয়োগ করা হয়। এই আইনের অপপ্রয়োগে রাস্তার ভিখারি থেকে শুরু করে প্রতিবন্ধী পর্যন্ত বাঁচতে পারে না। এ কারণে আইনটির সংশোধন চান পাকিস্তানের বহু শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ।