চলমান রোহিঙ্গা সংকটে মিয়ানমার সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার তিনি দেশটির রাজধানী নেইপিডোতে পৌঁছান।
আগামীকাল বুধবার মোদি দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে সু চির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মিয়ানমার থেকে ১১ দিনে এক লাখ ২৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স। সেন্ট মার্টিন্স ও শাহপরীর দ্বীপ থেকে আজ তিন হাজার ২৩১ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। আর মিয়ানমারের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, পুরো মিয়ানমারেই মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন বেড়েছে।
মিয়ানমারের চলমান সেনা অভিযান নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, রোহিঙ্গারা ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পথ ছয়দিন ধরে পাড়ি দিয়ে নিরাপত্তা পেতে আসছে বাংলাদেশে। তারা খাদ্য ও পানীয় সংকটে রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের অংশে রোহিঙ্গা জনস্রোতের ওপর দুটো বিস্ফোরণে এক নারীর পা উড়ে গেছে। তাউং পায়ো গ্রামের কাছে বিস্ফোরণের আগে গুলির শব্দ এবং আগুন দেখা গেছে।
থাইল্যান্ডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্কের নেতা কেইয়া উইন বলেন, মিয়ানমারে মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন বেড়েছে। ২০১২ সাল থেকে সংখ্যালঘু মুসলিমদের চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকার সেনাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেছে। সেনারা মুসলিমবিরোধী অভিযান পরিচালনা করলেও তারা কিছু বলছে না। কিন্তু রোহিঙ্গারাও মানুষ। তাই নোবেলজয়ী অং সান সু চি দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন, এমনটা আশা করেন সবাই।
মুসলিমদের পাশাপাশি ৫০০ হিন্দু রোহিঙ্গাও সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাদের খবর নিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদল সীমান্ত এলাকায় যায়।