ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:৩৭:০৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

মিয়ানমারে সরকার গঠন সু চি পাচ্ছেন ৪টি মন্ত্রণালয়!

| ১৪ চৈত্র ১৪২২ | Monday, March 28, 2016


সু চি পাচ্ছেন এক হালি মন্ত্রণালয়!

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি দেশটির মন্ত্রিসভায় যোগদানের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এর ফলে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি এই নেত্রী মিয়ানমারের প্রশাসনে একটি আনুষ্ঠানিক পদ পেতে যাচ্ছেন। তবে সু চি ছাড়া ১৮ জনের মন্ত্রিসভায় আর কোনো নারী সদস্য নেই। নির্বাচনে বিপুল জয় পেলেও মিয়ামারের সংবিধান অনুযায়ী তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।
পার্লামেন্টের স্পিকার মান উইন খাইং থান সম্প্রতি মন্ত্রিসভা সদস্যদের তালিকা পাঠ করেন। সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এই তালিকাটি প্রণয়ন করে। তবে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রী মন্ত্রণালয়ের কোন দপ্তর পেতে যাচ্ছেন তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী অং সান সু চির নাম রাখা হয়েছে মোট চারটি মন্ত্রণালয়ে। এগুলো হলো- প্রেসিডেন্টস অফিস, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, বিদ্যুত্ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে তার দল ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পায়; কিন্তু স্বামী ও সন্তান বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা রয়েছে। যে কারণে নির্বাচনের আগে থেকেই সু চি বলে আসছেন, সংবিধানে তাকে প্রেসিডেন্ট হতে বাধা থাকলেও তিনি প্রেসিডেন্টের ওপরে থাকবেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার হতিন কিয়াও এ নামগুলো প্রস্তাব করেন। ইউনিয়ন পার্লামেন্ট স্পিকার বুধবার সংসদ সদস্যদের কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপরই মন্ত্রিসভার প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। অর্থাত্ দলের পক্ষ থেকে যে নাম জমা দেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো আপত্তি করেনি মন্ত্রিসভা। আর কেবিনেটে নবগঠিত এ মন্ত্রিসভার সদস্যদের কার অবস্থান কি হবে, তা পরে সিদ্ধান্ত হবে।
মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে হলে সু চিকে দলীয় ও সংসদীয় পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। কাজেই এনএলডি নেত্রী শেষ পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এদিকে, সু চি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন বলে কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল মিয়ানমারের রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে এ গুঞ্জনের বিপক্ষেও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। মিয়ানমারের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ তোয়ে কিয়াও হলাইন এ ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় না, সু চি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন। এ পদের দায়িত্ব নিলে তাকে অধিকাংশ সময় নানা সফরে দেশের বাইরে থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাকা করতে তাকে ব্যস্ত থাকতে হবে বেশি। এ কাজ করতে গেলে সরকার নিয়ন্ত্রণ করা তার পক্ষে বেশ কঠিনই হয়ে পড়বে।’
জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী দলের নেত্রী হওয়া সত্ত্বেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সু চি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। দেশটির ২০০৮ সালের সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি কাউকে বিয়ে করলে বা সন্তানরা বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে সেই ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। সু চির দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে তিনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় পড়ে গেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালেই সু চি ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হতে না পারলে, তার চেয়েও বড় কিছু হয়ে তিনি দেশ পরিচালনা করবেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালনের চেয়ে সু চির কাছে সবসময় বেশি প্রাধান্য পাবে দল ও দেশ নিয়ন্ত্রণ করা। কাজেই তিনি এমন কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন না, যা তার প্রধান উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে। উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ মিয়ানমারের সংসদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এতে সু চির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হতিন কিয়াও জয় পান।