সংসদ প্রতিদেক : বিভিন্ন অপরাধে মালয়েশিয়ার ১৪ কারাগারে ১৬০৪ জন বাংলাদেশি আটক আছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার বিকেলে সংসদের বৈঠকে পাবনা-২ আসনের খন্দকার আজিজুল হক আরজুর টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, পাসপোর্ট, ওয়ার্ক পারমিট না থাকা, ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অবস্থান করা, ওয়ার্ক পারমিটের অবৈধ ব্যবহার, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা ও অবৈধ অনুবেশের কারণে মালয়েশিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আটক হন।
তিনি বলেন, এ রকম ১১ টি ক্যাম্পে মোট ১৩০৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে যাদের অনুকূলে ইতোমধ্যেই ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়েছে। মালয়েশিয়া জেল/ক্যাম্পে অবস্থানরত এ সকল নাগরিকদের হাইকমিশন হতে নিয়মিত পরিদর্শন ও আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়। এবং ক্যাম্পে আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ট্রাভেল পারমিট দেয়াসহ দেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী কর্মী প্রেরণের মোট সংখ্যা ৩ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৬ জন। ২০১৪ সালে বিদেশে নারী কর্মী প্রেরণের মোট সংখ্যা ৭৬ হাজার ৭ জন। ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত ৪০ হাজার ৩৮৭ জন নারী কর্মীও বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। এ পর্যন্ত জর্ডান, হংকং, সংযুক্ত আর আমিরাত, সৌদি আরবসহ বিশ্বের ৬৭ টি দেশে নারী কর্মী গমন করেছে।
মাদারীপুর-৩ আসনের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০১৩ সাল হতে জি টু জি প্রক্রিয়ায় প্লান্টেশন সেক্টরে এই পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৭০ জন বাংলাদেশি কর্মীর মালয়েশিয়ার ভিসা এসেছে। চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত ৭ হাজার ৩৩৪ জন কর্মী মালয়েশিয়া গিয়ে কর্মরত আছেন। অবশিষ্ট ১ হাজার ২৫ জন ভিসা প্রাপ্ত কর্মীর মধ্যে ১৬৮ জন কর্মী ফ্লাইটের অপেক্ষায় আছেন। ৮৫৭ জন কর্মী স্বেচ্ছায় ও স্বাস্থ্যগত কারণে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।
সংরক্ষিত আসনের বেগম লুৎফা তাহেরের অপর এক প্রশ্নের উত্তরের মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ হতে ১৬০ টি দেশে কর্মী গমন করছে। ১৯৭৬ সালে মে মাস থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৭ জন বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন।