রোম : ভূমধ্যসাগরে শরণার্থীদের বাঁচাতে ছোট উদ্ধারকারী জাহাজগুলো বড় ভূমিকা রাখছে। জাহাজগুলো বিভিন্ন সময়ে সাগরে ডুবতে বসা বিভিন্ন নৌকা থেকে শরণার্থীদের উদ্ধার করেছে এবং এখনও তা অব্যাহত রেখেছে। দুই বছর আগে ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার উপকূলের কাছে বেশ কয়েকটি নৌকা থেকে শরণার্থীদের উদ্ধারে সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছিল এ ধরণেরই একটি ছোট বেসরকারি জাহাজ। আর এখন এ কাজে জড়িত রয়েছে প্রায় ১২টির মত জাহাজ। এগুলো ২০ শতাংশ জীবন রক্ষাকারী মিশনে অংশ নিচ্ছে।
মাল্টা ভিত্তিক ইতালীয় ও আমেরিকান দম্পতি ক্রিস্টোফার ও রেজিনা ক্যাটরাবোন প্রথম এ পদক্ষেপ নেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে ল্যামপেডুসা দ্বীপের অদূরে জাহাজ ডুবি দেখে তারা ভীত হয়ে পড়েছিলেন। ওই জাহাজ ডুবিতে ৩৬৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।
এরপর ২০১৪ সালে ওই দম্পতির মাইগ্রান্ট অফশোর এইড স্টেশন (এমওএএস) অ্যাসোসিয়েশন ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি মাছ ধরার জাহাজ ফিনিক্স চালু করেন। পরে ইতালির নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড এটা পরিচালনা করে।
এরপর কয়েক সপ্তাহে প্রায় ৫০ হাজার শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে প্রায় তিন হাজার শরণার্থীকে এই ছোট নৌকা উদ্ধার করে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানির সংস্থা এসওএস মেডিটারেনির নির্বাহী পরিচালক সোফিয়া ব্যু বলেন, ‘আমরা মানুষকে মৃত্যুর মুখে রেখে চলে যেতে পারি না।’
বর্তমানে এমওএএস, ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ), এসওএস মেডিটারেনি, কাটালান প্রোঅ্যাকটিভ ওপেন আর্মস অ্যান্ড জার্মান সি ওয়াচ, সি-আই ও জুগেন্দ রেটেট পরিচালিত প্রায় ১২ টির মত জাহাজ লিবিয়া উপকূলে টহল দিচ্ছে।
প্রোঅ্যাকটিভ ওপেন আর্মস মিশনের প্রধান গেরার্ড ক্যানালস বলেন, কিছু ক্ষেত্রে আমরা পানির ওপর থেকে লোকজনকে উদ্ধার করি।