ঢাকা, মে ৩, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০০:৫৬:২৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

ভারত নিরাপত্তা দিচ্ছে গোটা বিশ্বকে, বললেন মার্কিন নৌসেনা প্রধান

| ২২ মাঘ ১৪২২ | Thursday, February 4, 2016

Hindu MohaJote's photo.


ভারত মহাসাগর এবং দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের প্রভাব বাড়তে থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করল আমেরিকা। যেভাবে বিভিন্ন দেশকে সামরিক সহায়তা দিতে শুরু করেছে ভারত, আন্তর্জাতিক জলসীমার নিরাপত্তা তাতে আরও সুনিশ্চিত হবে। মন্তব্য খোদ মার্কিন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসনের। প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ জলভাগে ভারতের প্রভাব যত দ্রুত বাড়ছে, তাতে চিনের আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা জোর  ধাক্কা খেয়েছে। মনে করছে ওয়াশিংটন।

বুধবার দক্ষিণ চিন সাগরের তীরে অবস্থিত দেশ ব্রুনেইয়ের সঙ্গে ভারতের সামরিক সমঝোতা হওয়াই আমেরিকার খুশি হওয়ার মূল কারণ। মার্কিন নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসন বলেছেন, ‘‘খুব উৎসাহব্যঞ্জক ঘটনা হল এই যে ভারত সারা বিশ্বে তাদের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। বৃহৎ শক্তি হিসেবে ভারত এখন গোটা পৃথিবীকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।’’ বুধবার ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি হয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরের বুকে কৌশলগতভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা দেশ ব্রুনেই-এর। ঠিক হয়েছে, ব্রুনেইকে রণতরী দেবে ভারত। ব্রুনেই-এর উপকূল সুরক্ষায় ভারতীয় নৌসেনা বড় ভূমিকা নেবে। প্রয়োজন হলে ভারত সরকার সেনাও মোতায়েন করতে পারে ব্রুনেইতে।

কিন্তু ভারত-ব্রুনেই সামরিক চুক্তি আমেরিকার জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা বলছেন, বেজিংকে যেভাবে চাপে ফেলে দিয়েছে নয়াদিল্লি, ওয়াশিংটন তাতে খুব স্বস্তি পেয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিং কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করায় সেখানে মাঝেমধ্যেই যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে মার্কিন নৌসেনা। কিন্তু তার প্রভাব সাময়িক। চিনা দ্বীপের কাছে স্থায়ী আস্তানা তৈরি করা না গেলে, চিনের কার্যকলাপে নজরদারি চালানো কঠিন। আমেরিকা সেই স্থায়ী ঘাঁটি বানাতে না পারলেও, ভারত তা করে ফেলল। বুধবার হওয়া চুক্তির পর বিতর্কিত দ্বীপের খুব কাছে অবস্থিত ব্রুনেইতে ভারতীয় নৌসেনার প্রবেশ মোটামুটি অবাধ হয়ে গেল। ফলে চাপে পড়ে গেল চিন।