ঢাকা, মে ১৯, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৫:৫১:৩০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

ভারতের এই থানায় কখনও আসেনি কোনও বন্দি!

| ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ | Thursday, June 2, 2016

shahgrah-police-station-pic একটা সময় ছিল যখন সারা দেশ জুড়ে একটা বড় সংখ্যক মামলা দায়ের হত ধর্ষণের। কিন্তু জয়সলমীর জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত একটি পুলিশ ষ্টেশনে ১৯৯৩ সাল থেকে কোনও ধর্ষণের মামলাই দায়ের করা হয়নি৷৷ থানাটি অবস্থিত সাহাগড় বুল্চ নামক একটি স্থানে৷জানা যায়, যখন থেকে ওই পুলিশ ষ্টেশনটি স্থাপিত হয়েছে তখন থেকে গত ২৩ বছরে মাত্র ৫৫টি মামলা দায়ের হয়েছে এই পুলিশ স্টেশনে এবং  এখন কোনও বন্দি কারারুদ্ধও নেই, থানার সব সেলই যেন মাছি তাড়াচ্ছে৷

এই এলাকায় কোনোরকম অপরাধমূলক কাজ হতে দেখা যায় না৷ সাহাগড় বুল্চে অবস্থিত বাড়িগুলোর মধ্যে একমাত্র এই পুলিশ ষ্টেশনটাতেই কোনও বিদ্যুৎ ও জলের ব্যবস্থা নেই৷ রাতের বেলা এই পুলিশ ষ্টেশনটি ও আশেপাশের এলাকা পুরো গাঢ় অন্ধকারে ছেয়ে যায় আর কাছাকাছি কোনও গ্রাম না থাকায় অনেকরকম অসুবিধার মধ্যে দিনের পর দিন কাটাতে হয় ওখানকার পুলিশদের৷ যদিও এই থানা থেকে বেশ অনেকটা দূরত্বে ৯০০ মানুষের বসবাস রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও বন্দিই সেখানে থাকেনি৷ বন্দিদের ধরার জন্য একটা জিপ গাড়ি আছে তারও অবস্থা খুবই শোচনীয়৷

সাহাগড় বুল্চের এই পুলিশ ষ্টেশনের আর একটি অন্যতম বিশেষত্ব হল যেসব কুখ্যাত পুলিশদের শাস্তি দেওয়ার দরকার হয়, তাদেরকে এই পুলিশ ষ্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যেহেতু এখানে কোনও বিদ্যুৎ ও জলের ব্যবস্থা নেই৷ যদিও এই পুলিশ ষ্টেশনে একজন ইন্সপেকটর এবং একজন সাব-ইন্সপেকটরসহ ১৫ জন কর্মী রয়েছেন৷

সাব ইন্সপেকটর রাজীব পাচার জানিয়েছেন, আগে মাদক ও চোরা-চালান প্রচুর পরিমাণে হলেও এখন তা দেখা যায় না৷ তিনি আরও বলেন ১৯৯৩ সালে থানাটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে মাত্র ৫৫টি কেস দায়ের হয়েছে ৷ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০৭ ধারার একটি কেস দায়ের হয়েছে এবং ২০০৬ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ ধারার একটি মাত্র কেস দায়ের হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়নি৷