নয়াদিল্লি : ভারতের উত্তরাখণ্ডে প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ২৫জন।
মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পানির স্রোতে ভেসে গেছে বহু বাড়ি-ঘর। ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছে বহু বাসিন্দা।
শুক্রবার সকালে মাত্র দুই ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডের সিঙ্গালিলা অঞ্চলে মোট ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদী-নালার পানির স্তর হঠাৎ বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার ওপরে বইতে শুরু করে।
এর জেরে ৫০ বর্গকিমি এলাকায় আকস্মিক প্লাবনে তলিয়ে গেছে অন্তত সাতটি গ্রাম। পানির তোড়ে ভেসে গিয়েছে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী।
পিথোরাগড়ের জেলাশাসক এইচ সি সেমওয়াল জানান, ‘সিঙ্গালিলা অঞ্চল থেকে এই পর্যন্ত পাঁচটি মরদেহ এবং থল গ্রাম থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সৈন্যরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন। নিখোঁজ বাসিন্দাদের জন্য তল্লাশি চলেছে।’
পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে ঘটনাস্থলে গেছেন জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তা আর এস রানা। তিনি জানিয়েছেন, ‘সিঙ্গালিলা অঞ্চলের ডিডিহাট মহকুমার সাতটিরও বেশি গ্রাম থেকে ২৫ জন নিখোঁজ। তাদের তল্লাশিতে আটিবিপি, এসএসবি এবং পিথোরাগড় জেলা পুলিশের সাহায্য নেয়া হয়েছে।’
দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হঠাৎ প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্টা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিংঘলি, পাত্তাকোট, ওগলা ও থল গ্রাম। গ্রামের বহু বাড়ি ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে বাসিন্দারা আটকে পড়েছেন। তাদের খুঁজে বের করে উদ্ধারের চেষ্টা চলেছে।