দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু দেব-দেবীর মন্দির৷ সেই মন্দিরগুলির মাহাত্মের কথা লোকমুখে শুনেই ঈশ্বরের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও ভক্তি জন্মায়৷ এক-একটি মন্দিরের ইষ্টদেবতা আবার বিশেষ কারণে বিশেষ জাগ্রত৷ তবে রাজস্থানের জয়সলমেরের তানোত মাতা মন্দিরের সঙ্গে হয়তো বাকিদের তুলনা চলে না৷ মাতা সতীর অন্যতম শক্তিপিঠ হিসেবে হিংলাজ মাতার পুজো হয় এই মন্দিরে৷
প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো এই মন্দিরটি ভারত-পাক সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় এখন ভারতীয় সেনার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাকে৷ ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় মন্দিরটি ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তান৷ মন্দিরটিকে টার্গেট করে প্রায় ৪৫টি বোমাও ফেলা হয়ে ছিল৷ গ্রামটিতে তিনশোরও বেশি বোমা নিক্ষেপ করা হয়৷ কিন্তু বিস্ময়কর হল, মন্দিরটির গায়ে আঁচও লাগাতে পারেনি পাক সেনা৷ কারণ মন্দির চত্বরে ফেলা ৪৫ টি বোমার একটিও ফাটেনি৷
গ্রামবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হলেও মন্দিরটি অক্ষত থেকে যায়৷ তারপর থেকেই মন্দির রক্ষণের দায়িত্ব ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ সেনারা এখানেই মনোকামনা পূরণের জন্য পুজো দেন৷ না ফাটা বোমাগুলি একত্রিত করে মন্দিরের গায়েই গড়ে তোলা হয়েছে একটি জাদুঘর৷ জাদুঘরের গায়ে লেখা, দুষ্টের দমন করেন দেবী৷