ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৫:২২:০০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

বিশিষ্ট সাংবাদিক এবিএম মূসার ৮৫তম জন্মদিন কাল

| ১৫ ফাল্গুন ১৪২২ | Saturday, February 27, 2016

 

ঢাকা: বিশিষ্ট সাংবাদিক এ বি এম মূসার আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি ৮৫তম জন্মদিন।
এ উপলক্ষে কাল রোববার এবিএম মূসা- সেতারা মূসা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় আলোচনা সভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আখতার, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রহিম, কামাল লোহানী, আবেদ খান, সৈয়দ আবুল মকসুদ, মাহফুজ উল্লাহ, শামসুদ্দিন আহম্মেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
জাতীয় প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ক্লাবের আজীবন সদস্য এবিএম মূসা ১৯৩১ সালে তার নানার বাড়ি ফেনী জেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এবিএম মূসা দীর্ঘ ৬৪ বছর ধরে সাংবাদিকতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফ পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয়। ওই বছরে তিনি ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার এবং বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তৎকালীন পাকিস্থান সরকার পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি সংবাদে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি অবজারভারে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে তিনি রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করতেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে এসে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি কিছু দিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এবিএম মূসা জাতীয় প্রেসক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এবিএম মূসা একুশে পদকসহ দেশী-বিদেশী নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এবিএম মূসা- সেতারা মূসা ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।